নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা: বরো চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষকে নিকেশের জন্য আনা নাইন এমএম পিস্তলের ‘পাহারাদার’কে গ্রেপ্তার করল লালবাজার। মিডলম্যান আফরোজ ওরফে গুলজারের ঘনিষ্ঠ এই দুষ্কৃতী মহম্মদ আলিকে শুক্রবার গুলশান কলোনি থেকে ধরা হয়েছে। ধৃতের সঙ্গে সুপারি কিলারদের যোগাযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আফরোজ ওরফে গুলজারকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে লালবাজার। জেরায় সে বারবার দাবি করছে, পুরো পরিকল্পনা গুলশান কলোনিতে থাকা অন্য এক দুষ্কৃতীর। সে বিহার থেকে সুপারি কিলারদের আনিয়ে ঘটনা ঘটিয়েছে। গুলজারের ফোনের কল লিস্ট ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ঘটনায় বিহার গ্যাং জড়িত। পুরো পরিকল্পনা গুলজারেরই। তার সঙ্গে ঘটনার আগে-পরে একাধিকবার কথা হয়েছে মহম্মদ আলির। ধৃত গুলজার জেরায় প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও, পরে স্বীকার করে নেয়, মহম্মদ আলিও এই ঘটনায় জড়িত। সুশান্তকে যে নিকেশ করা হবে, সেই পরিকল্পনার কথা ওই দুষ্কৃতী জানত। বিহারের সুপারি কিলারদের সঙ্গে মহম্মদও যোগাযোগ রাখত। বিহারেও যাতায়াত ছিল। তদন্তে উঠে আসে, সুশান্ত ঘোষকে নিকেশ করার জন্য গুলজার বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসে কলকাতায়। কিন্তু সে নিজের কাছে তা রাখেনি। একমাস আগে আনা এই ৯ এমএম পিস্তল রেখে আসে মহম্মদ আলির বাড়িতে। গুলজার ধরা পড়ার পর সে এলাকা ছেড়ে পালায়। শুক্রবার লালবাজারের কাছে খবর আসে মহম্মদ এলাকায় এসেছে। এরপরই সেখানে হানা দিয়ে তাকে ধরা হয়। ধৃতকে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, আফরোজের সঙ্গে তার অনেকদিন ধরেই পরিচয় ছিল। সে নিজে বিহার থেকে একাধিকবার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছে। মুঙ্গেরের একাধিক অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে। এই আর্মস সে কলকাতা লাগোয়া বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিয়েছে। একইসঙ্গে সুশান্ত ঘোষের সুপারি নেওয়া বিহারের গ্যাংস্টার পাপ্পু চৌধুরির সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পলাতক অভিযুক্তদের সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।