ফেনজল সাইক্লোনের প্রভাবে ৬ জেলায় বৃষ্টি, আলু চাষে ক্ষতির শঙ্কা
আজ তক | ৩০ নভেম্বর ২০২৪
শনিবার বিকেলেই তামিলনাডু ও পুদুচেরি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে সাইক্লোন ফেনজল। সরাসরি কোনও প্রভাব না পড়লেও এই ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়ল বাংলার আবহাওয়ায়। শনিবার সকাল থেকে বদলে গিয়েছে রাজ্যের আবহাওয়া। সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। কলকাতা সহ একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এছাড়াও সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও কালকের চেয়ে বেড়ে গিয়েছে। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। শনিবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৪.৫ ডিগ্রি বেশি। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
কোথায় কোথায় বৃষ্টি
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলায় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা হাওয়া রাজ্যে ঢুকতে বাধা পাচ্ছে। সঙ্গে হু হু করে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। এর ফলেই রবিবার পর্যন্ত কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায়। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
উত্তরের আবহাওয়া
উত্তরবঙ্গে আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। সেখানে কোনও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে কয়েকটি জেলাতে সকালের দিকে কুয়াশার দাপট দেখা যেতে পারে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মালদায় কুয়াশা পড়তে পারে। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূমেও কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আবার তাপমাত্রা নামতে পারে। পড়তে পারে জাঁকিয়ে শীত।
আলু চাষের কী হবে?
এদিক, বৃষ্টির কারণে মাথায় হাত চাষিদের। আলু বসানোর জন্য তৈরি জমিতে জল জমে গেলে আলু চাষ পিছিয়ে যেতে পারে। গত কয়েক বছর ধরেই আলু বসানোর সময় বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে চাষে দেরি হচ্ছে, মার খাচ্ছে আলুর ফলন। এবার বেশি বৃষ্টি হয়ে জমিতে জল জমে গেলে আলু চাষে দেরি হয়ে যাবে। কারণ এই সমটাতে ধান তোলার পরে চাষিরা আলুর চাষের জন্য জমি তৈরি করেন। এছাড়াও যে সমস্ত জমিতে আলু বসানো হয়েছে, সেসব জমিতে জল জমে গেলে আলু পচে নষ্ট হয়ে যাবে। পাশাপাশি মাঠে পড়ে থাকা ধান এবং শীতকালীন আনাজে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে চাষ নিয়ে আশঙ্কা ও চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।