২০১৫ সালের জুন মাসে এসএসকেএমের নেফ্রোলজি বিভাগে নির্মল তাঁর এক আত্মীয়ের কুকুরের ডায়ালিসিস করানোর জন্য ব্যবস্থা করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় হাসপাতালের তৎকালীন অধিকর্তা থেকে বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসকের অনুমতিও মিলেছিল বলে খবর। তবে শেষ পর্যন্ত অন্য চিকিৎসকদের তৎপরতায় ওই ঘটনা আটকানো গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এমসিআই)-র নীতি নির্ধারক কমিটির দ্বারস্থ হয়েছিলেন চিকিৎসক কুণাল সাহা। ২০১৯ সালে এমসিআইয়ের ওই কমিটির তরফে নির্মল-সহ বাকি দু’জনের ভূমিকার নিন্দা করে তাঁদের সতর্ক করা হয়েছিল। এর পরে আদালতে মামলা দায়ের করেন কুণাল।
এ দিন বিধাননগরের সাংসদ-বিধায়ক বিশেষ আদালতে সেই মামলারই রায় ঘোষণা ছিল। নির্মলের আইনজীবী সোমা দাস জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মামলাকারী উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে না পারায় বিচারক ঈশান মজুমদার মামলা খারিজ করে নির্মলকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছেন। যদিও কুণালের দাবি, ইতিমধ্যে নির্মল তাঁকে সামাজিক ভাবে অপদস্থ করতে চেয়ে প্রকাশ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। সেই কারণেই তিনি নির্মলের বিরুদ্ধে সাংসদ-বিধায়ক আদালতে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেছিলেন।
এ দিন মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পরে আদালতের বাইরে বেরিয়ে নির্মল বলেন, ‘‘আমাকে হেনস্থা করতে ওই চিকিৎসক একাধিক মামলা করেছিলেন। এই নিয়ে দু’টি মামলা খারিজ হল।’’