• রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণের প্রস্তাব ভবানী ভবনের
    আনন্দবাজার | ৩০ নভেম্বর ২০২৪
  • রাজ্য পুলিশে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের তিন মাসের প্রশিক্ষণ দিতে চায় ভবানী ভবন। এই মর্মে ভবানী ভবন থেকে প্রস্তাব গিয়েছে নবান্নে। ওই বিষয়ে নবান্ন এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জেলা স্তরে পুলিশ সুপার বা কমিশনারেট এলাকায় নগরপালের অধীনে ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

    এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, সিভিক ভলান্টিয়াদের দ্রুত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চেয়েই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারি মাস থেকেই ধাপে ধাপে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ওই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, রাজ্যে কত জন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন এবং তাঁদের নিয়োগ কী ভাবে হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যের তরফে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। সূত্রের দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী অবস্থান নেয়, তার জন্য রাজ্য প্রশাসন অপেক্ষা করছে। সেটি দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

    আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তার পরেই একাধিক জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার থেকে শুরু করে ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা অভিযোগ উঠেছে। এই আবহেই রাজ্য সরকার প্রায় এক লক্ষ ১৫ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়। কলকাতা পুলিশের তরফে তাদের এলাকার সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলেও রাজ্য স্তরে তা হয়নি। সূত্রের দাবি, রাজ্য পুলিশের তরফে ওই তিন মাসে কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, সেটিও প্রস্তাবে বলা রয়েছে।

    ভবানী ভবন সূত্রের খবর, প্রশিক্ষণ শুরু হলে আইনের পাঠ দেওয়া হবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। সেই সঙ্গে মানুষের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করবেন তাঁরা, শেখানো হবে তা-ও। পাশাপাশি, জরুরি পরিস্থিতিতে কী করণীয় এবং কোন কাজ করা উচিত নয়, তা নিয়েও পাঠ দেওয়া হবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। এর সঙ্গেই নিয়ম-শৃঙ্খলার পাঠ দেওয়ার কথা প্রস্তাবে রয়েছে। শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যা যা বাহিনীর সদস্যদের করানো হয়, তা-ও করার কথা বলা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। এক পুলিশকর্তা জানান, এত সংখ্যক সিভিক ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যাবে না। তাই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জেলা স্তরে পুলিশ সুপার বা নগরপালেরা তাদের প্রশিক্ষণের সব ব্যবস্থা করবেন।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)