শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি। শনিবার তাপমাত্রা আরও বেড়েছে। সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৪.৫ ডিগ্রি বেশি। আগামী দু’দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কারণ, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে, তার পরোক্ষ প্রভাব পড়ছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে। এর ফলে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা হাওয়া রাজ্যে ঢুকতে বাধা পাচ্ছে। উল্টে জলীয় বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণে সাগরের দিক থেকে। এর ফলেই রবিবার পর্যন্ত কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলায়। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৯ ডিগ্রি কম।
কলকাতা এবং শহরতলির কোথাও কোথাও শনিবার সকালের দিকে দু’-এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার এবং রবিবার হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে মোটের উপর শুকনো আবহাওয়া থাকবে। শনিবার সকালের দিকে কুয়াশার কারণে সমস্যা হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরে। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং বীরভূমেও কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। আগামী সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আবার পারদপতনের সম্ভাবনা।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। শনিবার বিকেলের মধ্যে তামিলনাড়ুর উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’, জানিয়েছে মৌসম ভবন। এর সরাসরি প্রভাব বাংলায় না পড়লেও পরোক্ষ প্রভাবে ভুগতে হচ্ছে।