স্থানীয় সূত্রের খবর, সৌরভ মণ্ডল নামে দক্ষিণ গড়িয়া এলাকার এক বাসিন্দা বছর দেড়েক ধরে বারুইপুরের ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তাঁকে মারধর করা হচ্ছিল। মারের চোটে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই খবর পেয়ে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে চড়াও হন মৃতের পরিবারের সদস্য থেকে স্থানীয়েরা। শুরু হয় ভাঙচুর। চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন জড়ো হন ওই জায়গায়। খবর যায় বারুইপুর থানার পুলিশের কাছে।
গন্ডগোলের খবর পেয়ে বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অর্চনা মল্লিক ঘটনাস্থলে যান। তিনিও ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ করেছেন। কাউন্সিলরের কথায়, ‘‘দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই নেশামুক্তি কেন্দ্র চলছে। এখানে রোগীদের মারধর করার অনেক অভিযোগ রয়েছে। রোগীর চিকিৎসা করাতে আসা অনেক পরিবার একই কথা বলছেন। আমরা পুলিশকে বলেছি, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য।’’ ঝর্না গোস্বামী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, প্রতি দিন নেশামুক্তি কেন্দ্রে গন্ডগোল হয়। রোগীদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পান স্থানীয়েরা। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতি দিন সন্ধ্যায় রোগীদের চিৎকার শোনা যায়। মারধর করা হয়। সন্ধ্যায় এক রোগীর মারের চোটেই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমরা চাই, অভিযুক্তদের শাস্তি হোক।’’
অন্য দিকে, এই নেশা মুক্তি কেন্দ্রটি যাঁরা চালাচ্ছিলেন, তিনি ওই ঘটনার পর থেকে পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে।