পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের চুনাখালি এলাকা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার হবে নির্দিষ্ট খবর ছিল। সেই জন্য ওই দিন দুপুর থেকে জেলা পুলিসের বিশেষ দল ও মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ চুনাখালি মোড় ও আশপাশের এলাকায় অভিযান শুরু করে। এর পর একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ওই দুই যুবককে আটক করা হয়। তাঁদের কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র।
পুলিশ জানিয়েছে, বহু দিন ধরে ওই দুই যুবক আগ্নেয়াস্ত্রের ‘ক্যারিয়ার’ (বাহক) হিসেবে কাজ করেছিলেন। মালদহের কোনও এক অস্ত্র-কারবারির কথা মতো ডোমকলে ওই আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ডোমকল থেকে ওই অস্ত্র উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার রাসপ্রীত সিংহ বলেন, ‘‘ধৃতেরা মালদহ থেকে সড়ক পথে বহরমপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছয়। তার পর বাসে চেপে ডোমকলে আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে নাকা অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই কারবারের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃতেরা আন্তঃরাজ্য অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত কি না, সে দিকটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’