পরভিন জানিয়েছেন, নকল ক্যালিফোর্নিয়ামকে আসল বলে চালিয়ে তা বিক্রির করার ধান্দা করেছিলেন ধৃত তৃণমূল নেতা ফ্রান্সিস এক্কা। অতীতেও ভুয়ো ‘অ্যান্টি রেডিয়েশন জ্যাকেট’ বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন তিনি। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘মিরিক থানায় ২০১৮ সালের একটি মামলায় ফ্রান্সিস এক্কার নাম পাওয়া গিয়েছে। সেই সময় সে অ্যান্টি রেডিয়েশন জ্যাকেট নামে ভুয়ো জ্যাকেট বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল। সম্প্রতি বিহার থেকেও যা পাওয়া গিয়েছিল, সেটাও ক্যালিফোর্নিয়াম নয়।’’
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, স্থানীয় এক ব্যক্তি তেজষ্ক্রিয় পদার্থ বিক্রি করতে চাইছেন, এই মর্মে খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই খবর পাওয়ামাত্রই নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়। তার পরেই চলে অভিযান। ঘটনাস্থলে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও গিয়েছিল। পদার্থটি উদ্ধার হওয়ার পরে সেটির পরীক্ষা হয়। তাতে দেখা যায়, সেটি কোনও তেজষ্ক্রিয় পদার্থ নয়। পুলিশ সুপারের কথায়, ‘‘পদার্থটি পরীক্ষার পর কিছুই মেলেনি। ধৃত ব্যক্তি মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছিল। এটার একটা চক্র রয়েছে। আরও তিন-চার জন রয়েছে ওই দলে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি ব্লকের বেলগাছি চা-বাগান এলাকায় ফ্রান্সিসের বাড়ি। তাঁর স্ত্রী অমৃতা এক্কা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। অমৃতা বলেন, ‘‘আমি এখনই কিছু বলব না। তবে এটুকু বলতে চাই, এ রকম কিছু হয়নি কখনও।’’
গত মঙ্গলবার দার্জিলিং জেলা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছিলেন ফ্রান্সিস। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ ছিল, ফ্রান্সিস বেশ কিছু দিন ধরেই দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত। গোয়েন্দা সূত্র মারফত সে রকম খবর পেয়েই অভিযান চালানো হয়েছিল। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার হয়েছিল ধৃতের কাছ থেকে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান ছিল, সেগুলি ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন’ (ডিআরডিও)-এর নথি। উদ্ধার হওয়া নথিও যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে খরব পুলিশ সূত্রে। বৃহস্পতিবার ফ্রান্সিসকে কার্শিয়াং আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারকের নির্দেশে ধৃতকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা।