মৃতা স্থানীয় স্কুলে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। প্রতিবেশীদের দাবি, মা চলে যাওয়ার পর মানসিক অবসাদেই নিজেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোরী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিবাহবহির্ভূত এক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মৃত কিশোরীর মা। মেয়েটির বাবা জেলা হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক কর্মী। সংসারের হাল ধরতে রোজগারের চেষ্টা করছিলেন স্ত্রী। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজও জুটে গিয়েছিল। এর পর কর্মস্থলে মধ্যবয়সি এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরিচয় গড়ায় পরিণয়ে। এর পরেই সাত মাস আগে দীর্ঘ দিনের দাম্পত্য জীবনে ইতি টেনে ঘর ছাড়েন কিশোরীর মা।
কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে দীর্ঘ ক্ষণ দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। বার বার ডেকেও ভিতর থেকে সাড়া না মেলায় প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি। এর পর দেখে দরজা ভেঙে কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তড়িঘড়ি তাকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিশোরীর বাবা বলেন, ‘‘ওর মা সংসারের হাল ধরবে বলে একটা কাজে যোগ দিয়েছিল। সেখানে গিয়ে এক জনের সঙ্গে নতুন করে সংসার শুরু করে। মেয়ে বার বার মাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল। মা না-ফেরায় অবসাদে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে।’’ কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কেন ওই কিশোরী আত্মহত্যা করল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।