• বর্ষায় ভরসা ডিঙি, শুখা মরশুমে মহানন্দা পেরোতে হয় সাঁকো দিয়ে
    বর্তমান | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: সারাবছর ঝুঁকি নিয়ে মহানন্দা নদী পারাপার হতে হয় মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। বর্ষায় ডিঙিই তাঁদের ভরসা। আর শুখা মরসুমে সাঁকো দিয়ে নদী পেরোতে হয় গ্রামবাসীকে। দুই মরশুমে নদীতে পড়ে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সমস্যা সমাধানে স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েকদশক ধরে পাকা সেতু তৈরির দাবি করে আসছেন। নির্বাচনের সময় নেতারা সেতু তৈরির বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু, কেউই কথা রাখেননি।


    মহানন্দা নদীর একপারে রয়েছে মালদহের চাঁচল-১ ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপতিপুর, গালিমপুর। অপরপ্রান্তে রয়েছে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের কাপাশিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের টিটিয়া, জামালপুর ও রাধানগর সহ কয়েকটি গ্রাম। জীবিকা নির্বাহ, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত, কৃষি ও শিক্ষাক্ষেত্রে দুই জেলা একে অপরের উপর নির্ভরশীল। জামালপুরের বহু ছাত্রছাত্রী চাঁচল ১ ব্লক এলাকার স্কুলে পড়াশোনা করে। জামালপুরের মুসরেফা খাতুন বলেন, ছেলে নদীর ওপারে ডিআইবি হাইস্কুলে যায়। এজন্য নদী পারাপার করতে হয়। তাই আমরা দুশ্চিন্তায় থাকি। বর্ষায় নদীতে জল বাড়লে নিয়মিত স্কুলে পাঠাই না। এখানে পাকা সেতু দরকার। এটা তৈরি করা হলে বাচ্চাকে স্কুল পাঠাতে আর ভয় থাকবে না। যাতায়াতের সমস্যাও সমাধান হবে। 


    শ্রীপতিপুরের মহবুল হকের কথায়, ওপারের গ্রামে অনেক আত্মীয় রয়েছেন। মোটরবাইক নিয়ে নদী পারাপার করা যায় না। তাই অন্য পথে ৩০কিমি ঘুরে যেতে হয়। সেখানে সেতু প্রয়োজন। স্থানীয় সাহাবুল হোসেনের বক্তব্য, বর্তমানে শুখা মরসুমে নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে ফেরিঘাট পার হতে হয়। এখানে সেতু তৈরি করা দরকার। 


    চাঁচল ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে সমিতিতে আলোচনা করা হবে। নদী পারাপারে মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এপ্রসঙ্গে চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, রাজ্য সরকার একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করছে। ওই এলাকার মানুষের দাবি যাতে পূরণ হয়, সেই চেষ্টা করব।


    -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)