ওয়াকফ সংশোধনী বিল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালাবে তৃণমূল, হুঙ্কার কল্যাণ-ফিরহাদের
বর্তমান | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ওয়াকফ বিল দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আঘাত করছে বলে বিধানসভায় আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে টার্গেট করার চেষ্টা করছে বলেও স্বর চড়িয়েছেন তিনি। এর রেশ ধরেই শনিবার কলকাতার রাজপথে কেন্দ্র-বিরোধী আওয়াজ আরও তীব্র করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সংখ্যালঘু সেল। এদিন রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু তৃণমূল কংগ্রেস সেলের সভা থেকে এই বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রের তুলোধোনা করেন করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমরা। ভারতের সংবিধানে রয়েছে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটি। ওয়াকফ বিল নিয়ে আসা ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক পদক্ষেপে দেশের সংবিধানের অমর্যাদা হচ্ছে বলে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এর বিরুদ্ধে জোড়াফুল শিবির লড়াই চালিয়ে যাবে বলেও সভা থেকে সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই বিল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ময়দান ছাড়া হবে না বলেও হুঙ্কার তোলেন দলের নেতৃত্ব।
কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ সভা পরিচালনা করেন সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারাফ হুসেন। কানায় কানায় ভর্তি রানি রাসমনি অ্যাভিনিউর সভায় কল্যানবাবু বলেন, ‘মোদিজি আপনি ভারতের সংবিধানককে সম্মান দেন না। ওয়াকাফ সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই বিল ভারতীয় সংবিধানের ২৬ নম্বর ধারাকে আঘাত করছে। এই বিলের মাধ্যমে ধর্মীয় আবেগকে আঘাত করা হচ্ছে।’ তাঁর কথায়, মোদিজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় দেখাতে পারবেন না। তাঁরা কেন্দ্রের এই নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেই।’
একই ভাবে মোদি সরকারের এই বিলের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমও। বাংলাদেশের ঘটনার নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যা হচ্ছে সেটা অন্যায়! বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে বিজেপি এখানে সাম্প্রদায়িক বিভাজন করার চেষ্টা করছে। ওখানে শুধু সংখ্যালঘুরাই খুন হননি। বর্তমান সরকারের নিষ্ক্রিয়তার জন্যেও অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন।’
আন্তর্জাতিক বিষয়ে (বাংলাদেশ প্রসঙ্গে) রাজ্য কেন্দ্রের অবস্থানকেই সমর্থন করবে। এই বিষয়টিও এদিন ফের একবার করে পরিস্কার করে দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে, যেকোনও দেশেই সংখ্যাগুরুদের সেদেশের সংখ্যালঘুদের আগলে রাখা উচিত বলেও এদিন একাধিক তৃণমূল নেতার মুখে উঠে আসে।