কাল থেকে খুলছে ডুয়ার্সের ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্প
বর্তমান | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: কাল, সোমবার থেকে খুলে যাচ্ছে ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্প। খুলছে কালীপুর ও মৌচুকি বনবাংলোও। সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল এগুলি। ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে যাঁরা রাত্রিবাস করবেন, তাঁদের জন্য মূর্তি নদীতে হাতির স্নান দেখা এবং হাতির সঙ্গে সেলফির সুযোগ থাকছে। সঙ্গে ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্প থেকেই হাতি সাফারি করা যাবে। তবে হাতি সাফারির জন্য অনলাইনে বুকিং করতে হবে। এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে রাত্রিবাসের বুকিং আপাতত অফলাইনে থাকছে।
শনিবার ধূপঝোরায় গিয়ে দেখা যায়, সাজো সাজো রব সেখানে। বনবাংলো খোলার আগে চলছে শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি। গোটা কাজ দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করছেন বিট অফিসার। গোরুমারার ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন বলেন, ২ ডিসেম্বর থেকেই পর্যটকরা ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে থাকতে পারবেন। নতুন লুকে ধরা দিচ্ছে এই বনবাংলোগুলি। হলং বনবাংলোয় অগ্নিকাণ্ডের কথা মাথায় রেখে বিদ্যুতের পরিবর্তে কটেজে থাকছে সৌর আলোর ব্যবস্থা। ভাড়াও অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে প্রতিটি কটেজের ভাড়া ছিল ২২০০ টাকা। এখন ভাড়া হচ্ছে ১২০০ টাকা। পর্যটকদের জন্য খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করবে বন সুরক্ষা কমিটি। এজন্য ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার মিলিয়ে মাথাপিছু ধার্য করা হয়েছে ৫৫০ টাকা। সন্ধ্যায় এলিফ্যান্ট ক্যাম্পেই আদিবাসী নাচ-গানের ব্যবস্থা থাকছে। এজন্য পরিবার পিছু ফি থাকছে ২৭৫ টাকা।
ডিএফও বলেন, ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা যাতে মূর্তি নদীতে হাতির স্নান দেখতে পারেন এবং হাতির সঙ্গে সেলফি তুলতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এব্যাপারে আমরা উপর মহল থেকে লিখিত অনুমতি পেয়ে যাব বলে আশা করছি। ধূপঝোরার পাশাপাশি কালীপুর ও মৌচুকি বনবাংলো ঘিরেও পর্যটকদের আকর্ষণ বরাবরের। বনদপ্তর সূত্রে খবর, যাঁরা কালীপুর বনবাংলোয় থাকবেন, তাঁদের জন্য মেদলা ওয়াচ টাওয়ারে যাওয়ার জন্য যে মাথাপিছু ২০০ টাকা ফি ছিল, আপাতত তা নেওয়া হবে না। বেশি সংখ্যায় পর্যটক টানতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে এখনই ধূপঝোরা গাছবাড়ি চালু হচ্ছে না। কিছু সংস্কারকাজ হয়েছে। কিন্তু গাছবাড়িতে আরও কিছুটা কাজ এখনও বাকি। তা শেষ না করে ধূপঝোরা গাছবাড়িতে পর্যটকদের বুকিং দেওয়া হবে না।