গভীর সমুদ্রে ১২ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বাঁচিয়ে সম্মানিত কাকদ্বীপের প্রাণকৃষ্ণ দাস
বর্তমান | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: ১২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে প্রাণে বাঁচিয়ে সম্মানিত হলেন কাকদ্বীপের বিদ্যানগরের বাসিন্দা প্রাণকৃষ্ণ দাস। উপকূলরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। ২৮ নভেম্বর কেরলের কোচি শহরে এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে ‘সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অ্যাওয়ার্ড ফর ফিশারম্যান ২০২৩-২৪’ সম্মান তুলে দেওয়া হয়। শনিবার এই পুরস্কার নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রাণকৃষ্ণ।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ১৭ জন মৎস্যজীবী কাকদ্বীপের মৎস্যবন্দর থেকে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন। পরের দিন ১১ সেপ্টেম্বর হঠাৎই প্রাকৃতিক দুর্যোগে উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। মাঝি প্রাণকৃষ্ণ ট্রলার নিয়ে উপকূলের দিকে ফিরে আসার সময় দেখেন, সমুদ্রের মাঝেই হাবুডুবু খাচ্ছেন দুই মৎস্যজীবী। তৎক্ষণাৎ তিনি ট্রলার নিয়ে এগিয়ে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। তাঁরাই জানান, বাংলাদেশের একটি ট্রলারে করে তাঁরা এসেছিলেন মাছ ধরতে। সেই ট্রলার উল্টে গিয়েছে। তাঁদের মতো আরও ১০ জন মৎস্যজীবী সমুদ্রে ভেসে রয়েছেন। একথা শুনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ফের গভীর সমুদ্রে গিয়ে ওই দশ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন প্রাণকৃষ্ণ দাস ও তাঁর সঙ্গীরা। ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি ওই মৎস্যজীবীদের নিয়ে পাথরপ্রতিমার ঘাটে পৌঁছন। এরপর বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের পাথরপ্রতিমা থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা কয়েকটি বাঁশ ধরে সমুদ্রে ভেসেছিলেন।
প্রাণকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করার জন্য এত বড় সম্মান পাব একবারও ভাবিনি’। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘প্রাণকৃষ্ণের এই সম্মান সমুদ্রে পরস্পরকে সাহায্য করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।’