বেলঘরিয়া কাণ্ডে নয়া মোড়, গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন গৃহবধূ
বর্তমান | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: বেলঘরিয়ায় নিজেই গায়ে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন গৃহবধূ। তিনি এখন কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি। তবে হাসপাতালে এবং বেলঘরিয়া থানার পুলিসের কাছে বছর সাতাশের ওই মহিলা যে বয়ান দিয়েছেন, তাতে স্বামীকেই অভিযুক্ত করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, স্বামী নিলয় সরকার ও তাঁর এক সঙ্গী আর্যনগরের অনুপমা রোডে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। তবে পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে, যে সময়ে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই সময় তাঁর ছিলেন কলকাতার অফিসে। তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনও একই তথ্য দিয়েছে। ফলে গৃহবধূ সঙ্গীতা সরকার যে বয়ান দিয়েছেন, তা সঠিক নয় বলেই পুলিসের অভিমত। তিনি সম্ভবত স্বামীকে ফাঁসাতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি তিনবার আত্মঘাতী হওয়ারচেষ্টা করেছেন বলে পুলিস জানতে পেরেছে।
পুলিস ওই রাতে মহিলার স্বামীকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তদন্ত অন্য দিকে মোড় নেয়। মহিলার বয়ানের সঙ্গে বাস্তবের মিল না পাওয়ায় পুলিস অফিসাররা সঙ্গীতাদেবীর বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। তারপর তাঁরা একপ্রকার নিশ্চিত যে, ওই মহিলা আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
এর আগে দু’বার বাড়িতে এবং একবার খড়দহ স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সঙ্গীতাদেবী। কখনও গলায় গামছা দিয়ে, কখনও জলের বোতলে অ্যাসিড ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মহিলার শাশুড়ির কথায়, ‘বউমার মানসিক সমস্যা রয়েছে। আগেও সে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। বাপের বাড়ির সদস্যরাও তা স্বীকার করেছেন। চিপস কিনতে যাওয়ার নাম করে বউমা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। সেই সময় ছেলে কলকাতার অফিসে ছিল।’ পুলিস ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে কোথাও নিলয়কে দেখতে পায়নি। তবে স্বামীর সঙ্গে যে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো ছিল না, তা স্পষ্ট পুলিসের কাছে। বারাকপুরের কমিশনারেটের ডি সি (সাউথ) অনুপম সিং বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই তরুণী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। আমরা সবদিক খতিয়ে দেখছি।