• এসটিএফের সঙ্গে জুড়ছে কমান্ডো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসএসএফ বাহিনী
    বর্তমান | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জঙ্গি নিধনে বেঙ্গল এসটিএফের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে রাজ্য পুলিসের প্রশিক্ষিত কমান্ডো বাহিনী স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্স (এসএসএফ)। মাওবাদী হামলা বা কোনও নাশকতামূলক ঘটনা তারা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সামনে থেকে মোকাবিলা করবে। বিভিন্ন অভিযানে তাদের সঙ্গে নিয়ে যাবে এসটিএফ।   


    রাজ্যে জঙ্গি গতিবিধি নিয়ে খোঁজখবর চালায় এসটিএফ। কোথাও কোনও জঙ্গি কার্যকলাপের খবর এলে এই শাখার অফিসাররাই তল্লাশিতে যান। তাঁদের কাছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থাকলেও জীবনের ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ, তাঁদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ থাকে না। পরিস্থিতি বেগতিক হলে জঙ্গি ঘাঁটি ভাঙতে ডাকতে হয় এসএসএফ-কে। এই বাহিনী রাজ্য আর্মড পুলিসের নিয়ন্ত্রণে থাকায় তাদের আসা-যাওয়ার মধ্যেই চলে যায় বেশ কিছুটা সময়। সেই সঙ্গে আরও একাধিক সমস্যা রয়েছে। পাঞ্জাবের গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লার ও যশপ্রীত সিংকে এনকাউন্টারের ক্ষেত্রে  অফিসাররা বুঝেছিলেন, কমান্ডো প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত বাহিনী কতটা জরুরি। তাছাড়া, এখন কলকাতার বাইরে জেলা শহর, মফস্‌সলেও তৈরি হচ্ছে শপিং মল, বিমানবন্দর ও নামকরা হোটেল। সেসব জায়গায় ভিভিআইপিদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। এসব জনবহুল ও ব্যস্ত এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকলে এসটিএফ সক্রিয় হয়। জঙ্গিরা কোথায় আশ্রয় নিয়েছে,তা জানার পর তাদের নিকেশ করতে নিখুঁত পরিকল্পনার দরকার পড়ে। কারণ, ভিড়ভাট্টার মধ্যে সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই ‘অপারেশন’ চালাতে হয়। 


    এই প্রেক্ষিতেই নবান্নের কর্তারা জঙ্গি মোকাবিলায় প্রশিক্ষিত কমান্ডো বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা টের পান। সেই সূত্রেই এসএসএফ-কে এসটিএফের সঙ্গে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। এসএসএফ যে কোনও ধরনের ‘অপারেশনে’ অত্যন্ত দক্ষ। শহরের ব্যস্ত এলাকায় জঙ্গি নিধনের পাশাপাশি জঙ্গলের লড়াইতেও তারা সমান পারদর্শী।  প্রশাসনিক কর্তাদের আশা, এই পদক্ষেপ অত্যন্ত কার্যকরী হবে। বিভিন্ন জঙ্গি মডিউলও ভেঙে ফেলা আরও সহজ হবে। তাছাড়া, দু’টি বাহিনীকে এক ছাতার তলায় আনা হলে অপারেশনের খুঁটিনাটি ও পরিকল্পনা নিয়ে সমন্বয় আরও সুদৃঢ় হবে। জঙ্গিরা কোথাও কাউকে পণবন্দি করলে বা বিমানবন্দর, হোটেলে ঢুকে হামলা চালালে চটজলদি এই বাহিনীকে নিয়ে রওনা দিতে পারবেন এসটিএফ অফিসাররা।  সূত্রের খবর, এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। দ্রুত নয়া নিয়ম কার্যকর করতে তোড়জোড় চলছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)