• বাংলার ৪টি অভয়ারণ্যে বিদেশি প্রজাতির হানাদার কেঁচোর হদিশ
    বর্তমান | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘কেঁচো কৃষকের বন্ধু’— স্কুলপাঠ্য থেকেই একথা জেনে এসেছি আমরা। মাটির উর্বরতা বাড়াতে কেঁচোর ভূমিকা সর্বজনবিদিত। তবে কেঁচোর জগতেও রয়েছে হানাদার বিদেশি প্রজাতি। তারা স্থানীয় কেঁচোদের সংখ্যা কমিয়ে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক ভূমিকা নিতে পারে। রাজ্যের পাঁচটি অভয়ারণ্যে সমীক্ষা চালিয়ে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই ‘বিদেশি’ কেঁচোর সন্ধান পেয়েছেন জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (জেডএসআই) বিজ্ঞানীরা।


    এবারই প্রথম রাজ্যের পাঁচটি অভয়ারণ্যে কেঁচোর জীববৈচিত্র্য সমীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা। ডঃ শকুর আহমেদ ও ডঃ এন মারিমুত্থু যৌথভাবে এই সমীক্ষা চালান। চারটি অভয়ারণ্যে কোনও না কোনও বিদেশি প্রজাতি খুঁজে পেয়েছেন মারিমুত্থু। গোটা রাজ্যে তিনি ন’টি বিদেশি প্রজাতির কেঁচোকে সূচক হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন। সেগুলি চারটি অভয়ারণ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তবে এর মধ্যে রয়েছে ইতিবাচক দিকও। রায়গঞ্জের কুলিক অভয়ারণ্যে কোনও বিদেশি প্রজাতির কেঁচো নেই। শুধু তাই নয়, ২২টি দেশীয় প্রজাতির কেঁচো নিয়ে সবচেয়ে বেশি জীববৈচিত্র্য রয়েছে এই অভয়ারণ্যে। এটি পিছনে ফেলেছে বেথুয়াডহরি, বল্লভপুর, বিভূতিভূষণ এবং রামবাগান অভয়ারণ্যকে। 


    এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন জেডএসআই-এর অধিকর্তা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কৃষিকাজের জন্য কেঁচো সার তৈরির সময় দেশীয় তথা স্থানীয় প্রজাতি ব্যবহার করা উচিত। সাধারণত ভার্মিকম্পোস্ট তৈরি হয় বিদেশি প্রজাতির কেঁচো দিয়ে। এর ফলে কৃষি ক্ষেত্রে প্রবেশ করে কেঁচোর এই হানাদার প্রজাতিগুলি। তারা স্থানীয় প্রজাতির কেঁচোর সংখ্যা কমিয়ে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিসাধন করে।
  • Link to this news (বর্তমান)