ই গোপী: একে ভাঁড়ে মা ভবানী। তার উপর এই অবস্থার মধ্যে এবারে সিপিআইএমের জেলা সম্মেলন হতে চলেছে রেলশহর খড়গপুরে। আগামী ১২ ও ১৩ জানুয়ারি রেলশহর খড়গপুরে ২৫ তম জেলা সম্মেলন আয়োজিত হবে বামেদের।
আর এবারে জেলা সম্মেলন আয়োজন করার দায়িত্ব পড়েছে রেলশহর খড়গপুরের কমরেডদের উপর। এমনিতেই বরাবর রেলশহর খড়গপুরে সিপিআইএম দুর্বল। বাম জমানার মধ্য গগনেও এখানে সিপিআইএম কোনওদিন জিততে পারেনি। তাই এই ভাঁড়ে মা ভবানির দশা থেকে বেরিয়ে জেলা সম্মেলন আয়োজনের জন্য সেই ভাঁড়ের উপর ভরসা রাখছেন রেলশহর খড়গপুরের সিপিআইএমের নেতা ও কর্মীরা। রেলশহর খড়গপুরের তিনটি ও খড়গপুর গ্ৰামীণ এলাকার চারটি এরিয়া কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের ঘনিষ্ঠ সমর্থক ও দরদীদের বাড়িতে একটি করে প্লাস্টিকের ভাঁড় পৌঁছে দেওয়া হবে।
সেখানে ক্ষমতা অনুযায়ী পরিবারগুলি রোজ কিছু টাকা বা খুচরো পয়সা রাখবেন। তারপর সম্মেলনের আগে আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম দশদিনের মধ্যে ওই ভাঁড়গুলি সংগ্ৰহ করা হবে। সেই ভাঁড়গুলি থেকে যা সংগ্ৰহ হবে সেটি খরচ করা হবে সম্মেলনে। ইতিমধ্যে এই ভাঁড় বিতরণের কাজ খড়গপুর শহর ও গ্ৰামীন এলাকায় ইতিমধ্যেই ভাঁড় বিলির কাজ শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি বামেদের জেলা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে খড়্গপুর গ্ৰামীন ও খড়্গপুর শহর মিলে ৬০০০ পরিবার কে ভাঁড় দেওয়া হবে। পাশাপাশি বাম নেতারা জানাচ্ছেন ভাঁড় বিতরনে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে সমর্থকদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, কেন্দ্রীয় স্তরে মানুষের কাছে পৌঁছানো গেলেও স্থানীয় স্তরে দুর্বলতা থেকে যাচ্ছেই। একই সঙ্গে তিনি বলেন, 'কর্মীদের মধ্যে ২০১১ এর পর থেকে অদ্ভুত ভয় আছে, এটা কাটানো উচিত। নেতৃত্ব কখনই দায় এড়াতে পারেনা। নেতাদেরও নিচু তলায় যেতে হবে। ফাঁক নিশ্চয় থেকে যাচ্ছে। বামফ্রন্টের আমলে যারা সুবিধা পেয়েছেন তারা হয়ত সংগঠিত করতে ভয় পাচ্ছেন। যারা ৩৪ বছর আরামে ছিলেন। তাঁরা ৩৪ বছরে শাসন ক্ষমতা মানসিকতাতে মেদ বাড়িয়েছে। কান্তি দা নিচু তলার মানুষের সঙ্গে মেশেন। উনি ঠিক কথা বলেছেন।'