গত মাসে বারাণসীতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পঙ্কজ। তাঁর ‘সেরিব্রাল অ্যাটাক’ হয়। কর্মজীবনে মালদহের পুলিশ সুপার, সিআইডি এবং গোয়েন্দা বিভাগের বিভিন্ন পদে কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করেছিলেন পঙ্কজ। আইবি-র আইজি পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। অবসর জীবনে বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে নিয়মিত যোগ দিতেন তিনি।
আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে একটি অনুষ্ঠানে পঙ্কজের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক বাধে। বড়তলা থানায় মামলা দায়ের হয়। পুলিশ তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর কিছু দিনের মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সে জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ দায়ী বলে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও এ দিন বলেছেন, “ওঁকে খুন করা হয়েছে। মমতার নির্দেশে রাজ্যের পুলিশ যে ভাবে হেনস্থা করেছিল, সেই মানসিক আঘাত থেকেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।” একই কথা বলেছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও। অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, “যিনি পুলিশের এক জন কর্তা ছিলেন, তাঁকে এক দিন পুলিশ ডাকলে তাঁর হৃদ্যন্ত্র বিকল হবে? ওঁর শরীর খারাপ থাকলে বারাণসীতে বক্তৃতা করতে গেলেন কেন?” তবে ‘বিষয়ভিত্তিক মতপার্থক্য’ থাকলেও পঙ্কজ তাঁকে স্নেহ করতেন বলেই জানিয়েছেন কুণাল। পঙ্কজের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে কুণালের আরও বক্তব্য, “কথাও হত মাঝেমধ্যে। তাঁর প্রয়াণে আন্তরিক শোকজ্ঞাপন করছি।”