পুলিশ সূত্রে খবর, হুগলির পান্ডুয়া থেকে প্রচুর আলু লুকিয়ে বিহারের গয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। জাতীয় সড়ক না ধরে লরিটি অন্য রাস্তা দিয়ে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিল। ঠিক রুনাকুড়াঘাট এলাকায় লরিটিকে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশকর্মীরা অবশ্য প্রথমে বুঝতেই পারেননি যে, লরিটিতে আলু রয়েছে। কারণ, মালপত্র প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা ছিল। আর চালানে লেখা ছিল, ‘প্লাস্টিক ব্যাগ’। সন্দেহ হওয়ায় লরিটিতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তাতে প্রায় ৫১০ ব্যাগ আলু পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে বারাবনি থানার পুলিশ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘পান্ডুয়া থেকে বিহারের গয়ায় আলু পাচার হচ্ছিল। ওই ঘটনায় লরির চালক এবং খালাসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে আরও সতর্ক হল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।’’
ভিন্রাজ্যে আলু রফতানিতে পুলিশের বাধার অভিযোগ তুলে গত ২০ জুলাই রাজ্য জুড়ে ‘কর্মবিরতি’র ডাক দিয়েছিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। টানা পাঁচ দিন চলে সেই ধর্মঘট। যার জেরে রাজ্যের বাজারগুলিতে আলুর সঙ্কট শুরু হয়। বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয় আলু। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে বৈঠকে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস মেলায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন আলু ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আবারও আলু রফতানিতে প্রশাসনিক বাধা এবং পুলিশি ধরপাকড়ের অভিযোগে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বাংলার আলু ব্যবসায়ীরা। অন্য দিকে, আসানসোলের কুলটি এলাকায় জাতীয় সড়ক, রূপনারায়ণপুর, রুনাকুড়াঘাটের বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার রাজ্য সড়কের চেকপোস্টে আলুবোঝাই লরি দেখলেই আটকাচ্ছে পুলিশ। লরিগুলোকে আবার বাংলায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শানিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত এমন বেশ কিছু লরি ধরেছে পুলিশ। একেবারে ছাউনি তৈরি করে ওই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে আলু লুকিয়ে ভিন্রাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করছেন অনেক লরিচালক এবং খালাসি।