অন্য দিকে, সম্প্রতি মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের ন’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেই উপনির্বাচনে আবার হারানো জমি ফিরে পেয়েছে যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার। তাই আবার নতুন উদ্যমে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব রামমন্দিরকে তাদের বড়সড় সাফল্য হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে তুলে ধরতে চাইছে বলেই মনে করছেন জাতীয় রাজনীতির কারবারিরা। তাই সারা দেশের বিজেপি নেতারা আবার অযোধ্যামুখী হয়েছেন। পালে হাওয়া লাগিয়ে এ বার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির বিধায়কেরা যেতে পারেন অযোধ্যায়। বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের কারণে বেশির ভাগ বিধায়ক কলকাতায় থাকবেন। আর শুক্র থেকে রবিবার টানা তিন দিন বিধানসভার অধিবেশনে বিরতি রয়েছে। তাই এই তিন দিনেই রামলালার দর্শন করে কলকাতা ফিরে আসতে চান বিজেপি বিধায়কেরা।
শেষ মুহূর্তে কোনও কর্মসূচি বা অনুষ্ঠান না থাকলে বেশির ভাগ বিধায়কই অযোধ্যায় যাবেন বলে বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর। তা ছাড়া লোকসভা নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত ফলের পর, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের মতো ‘কঠিন’ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে যে ভাবে বিজেপি বৈতরণী পার হয়েছে, তাতে আবার দল কট্টর হিন্দুত্বের লাইনেই এগোতে চাইছে। আর সেই অস্ত্রে শান দিতেই অযোধ্যার রামমন্দির দর্শনে যাওয়াকে অন্যতম হাতিয়ার করতে চাইছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। শুক্রবার অযোধ্যা গিয়ে রামলালার দর্শন করে ওই দিনই কলকাতায় ফিরতে পারেন বিরোধী দলনেতা। তবে এমন কিছু বিধায়ক রয়েছেন, যাঁরা অযোধ্যায় থেকে কয়েক বার রামলালার দর্শন করতে চান। তাই তাঁদের রবিবার পর্যন্ত অযোধ্যায় থাকার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। কারণ, ৯-১০ তারিখে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দু’দিন বিরোধী দলনেতা সব বিজেপি বিধায়ককে অধিবেশনে থাকতে বলেছেন বলেই সূত্রের খবর।
তবে বিজেপি পরিষদীয় দল থেকে ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি গত জানুয়ারি মাসে রামমন্দির উদ্বোধনের সময়ই অযোধ্যায় রামলালার দর্শন করে এসেছেন। তিনি আবারও রামলালার দর্শন পেতে অযোধ্যা যেতে চান বলে জানিয়েছেন। এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, ‘‘১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল বলেই যে আমরা ওই দিনই অযোধ্যায় যাচ্ছি এমনটা নয়। কারণ, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে তিন দিনের বিরতি রয়েছে, তাই সেই সুযোগেই আমরা রামমন্দির দেখতে যাচ্ছি।’’