এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘কোনও ব্যক্তি অপরাধ করলে আর দায় দলের উপরে বর্তায় না। আইন আইনের মতো চলে। দলের কেউ এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, কালু মিঠিপুর পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুর এলাকার বাসিন্দা। অনেক দিন ধরেই আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। মৃতের পরিবারের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতা মিঠুকে পাঁচ হাজার টাকাও তিনি দিয়েছিলেন আবাসের তালিকায় নাম তুলিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সম্প্রতি আবাসের যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে কালুর নাম ছিল না। এর পর শনিবার সন্ধ্যায় মিঠুর কাছে টাকা ফেরত চাইতে গিয়েছিলেন কালু। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসাও হয়। অভিযোগ, সেই সময়ে লোহার র়ড দিয়ে কালুকে বেধড়ক মারধর করেন মিঠু। পরে পড়শিরাই প্রৌঢ়কে উদ্ধার করেন। পুলিশও আসে ঘটনাস্থলে। সঙ্গে সঙ্গেই প্রৌঢ়কে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার একটি হাসপাতালে। রবিবার সকালে সেই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় কালুর।
মৃতের ভাইপো রমজান মণ্ডল বলেন, ‘‘কাকা মিঠুকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিল আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার জন্য। লিস্টে নাম না থাকায় শনিবার ওই টাকা ফেরত চাইতে গিয়েছিলেন। মিঠু তখন পুলিশে কেস করার হুমকি দেয়। কাকা প্রতিবাদ করলে ঘর থেকে লোহার রড নিয়ে এসে বেধরক মারধর করে কাকাকে। আজ সকালে কাকার মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূল নেতা বলে যেন মিঠুকে ছেড়ে দেওয়া না হয়! ওর যেন ফাঁসি হয়।’’
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এখন পলাতক বলেই দাবি স্থানীয়দের। পাল্টা মিঠুর আত্মীয় সৌরভ হালসনা বলেন, ‘‘মিঠুকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করছিল। যা নিয়ে বচসা শুরু হয়। সেই সময় আচমকাই মাটিতে পড়ে যায় কালু শেখ। স্ট্রোক জাতীয় কিছু হতে পারে। খুনের প্রশ্নই আসে না।’’