জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ডুয়ার্স রুটে মাঝেমধ্যেই ট্রেন চালকেরা ট্রেন দাঁড় করিয়ে হাতিদের প্রাণ বাঁচান। এমনিতেই ডুয়ার্সের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে ধীর গতিতে ট্রেন চলাচল করে। তার পরেও মাঝেমধ্যে জঙ্গল এলাকায় ট্রেনের কাছাকাছি চলে আসে হাতি। তবে এ-পথে ট্রেনচালকেরা সদা সতর্ক থাকেন। এরকমই ঘটনা ফের ঘটল।
এর আগেও এরকম ঘটেছে। ট্রেন চালকের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচেছিল একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি। মালবাজার মহকুমার বাগরাকোট রেল স্টেশন এবং সেভকের মাঝে রাতের দিকে এই ঘটনাটি কয়েকমাস আগে ঘটেছিল। সেদিন রাতে ধুবরি-শিলিগুড়ি ডেমু ট্রেনটি শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। তখন বাগরাকোটের একটি সুড়ঙ্গ পার করতেই ট্রেনের চালক লক্ষ্য করেছিলেন রেল লাইনের উপর দিয়ে একটি হাতি হেঁটে চলেছে। চালক সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের গতিবেগ কমিয়ে দেন।
কিছুক্ষণ পরে হাতিটি রেললাইন থেকে নেমে মংপং জঙ্গলে চলে যায়। এরপর ট্রেনটি আবার শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেদিনও ট্রেন চালকের তৎপরতায় বেঁচে গিয়েছিল একটি বন্যপ্রাণ।
এরও আগে এক রেলচালকের তৎপরতায় বেঁচে গিয়েছিল দুই হাতি। ভোরে ডুয়ার্সের ট্রেনরুটের চালসা ও নাগরাকাটা স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে ৭০/৯ নাম্বার পিলারের কাছে ঘটনাটি ঘটেছিল সেবার। ঘড়ির কাঁটায় সময় তখন সকাল ৬:২২ মিনিট। অপরদিকে, সেদিনই ৬:৪২ মিনিট নাগাদ শিলিগুড়ি থেকে ধুবড়িগামী ৭৫৭৪১ শিলিগুড়ি-ধুবড়ি ডিএমইউ ট্রেনের দুই চালক সুভাষকুমার দাস এবং সুদেব নাথের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচে বুনো হাতির। ঘটনাটি ঘটেছিল চালসা-নাগরাকাটা স্টেশনের মাঝে ৭১/০-১ নম্বার পিলারের কাছে।
ডুয়ার্স এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্য দিয়েই গিয়েছে ব্রডগেজ রেললাইন। রেল লাইনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বন্যজন্তুর আনাগোনা লেগেই থাকে। ডুয়ার্সের এই রেলপথে ট্রেনের গতিবেগও নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা রয়েছে। বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেই এই রেলপথে চালকদের ট্রেন চালিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়। এখানে সেটাই রীতি।