প্রদ্যুত্ দাস: সিকিমের রংপোতে শনিবার বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। সেই তালিকায় রয়েছেন জলপাইগুড়ির ৫২ বছরের শ্রমিক সুজিত দাসের। রবিবার সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মেধ্যপাড়া এলাকায় ওই শ্রমিকের বাড়িতে এলেন জলপাইগুড়ি জলে প্রশাসন।
সিকিমের সিয়ারিতে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতেন সুজিত। ছুটি কাটিয়ে কাজের জায়গায় ফেরার পথে ভয়ংকর ওই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। রবিবার তাঁর বাড়িতে আসেন সদর বিডিও মিহির কর্মকার ও সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনয় রায়। তাঁরা সবরকমভাবে সুজিতবাবুর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। প্রশাসন বাড়িতে খোঁজখবর নিতে আসায় খুশি আত্মীয় পরিজনেরা।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর নাগাদ শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বেসরকারি গ্যাংটকগামী বাসটি। কালিম্পং ও সিকিম সীমান্তে রংপোর কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি তিস্তায় পড়ে যায়। জলের স্তর কম থাকায় নদীর পাড়েই আটকে পড়ে বাসটি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিকিম ও কালিম্পং পুলিস। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫। প্রায় ১০ জনের উপর আহত হয়েছেন। তাঁদের সিকিমের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কালিম্পং জেলা পুলিস সুপার শ্রীহরি পান্ডে বলেন , "আমাদের প্রথম কাজ ছিল যাত্রীদের উদ্ধার করা। সেটা আমরা করেছি। এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১০ থেকে ১২ জনের উপরে যাঁরা আহত, তাঁদের সিকিমের একাধিক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।"