• ঝাড়গ্রামে ঢুকে হাতিরা লণ্ডভণ্ড করছে ধানের জমি, ব্যাপক ক্ষতির মুখে চাষিরা
    বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: হাতির দল লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে ধান জমি। নয়াগ্ৰাম, সাঁকরাইল ব্লকের চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। মাঠের পাকা ধান কয়েকদিন পরেই ঘরে ওঠার কথা। কিন্তু হাতির হানার ভয়ে মাঠের কাঁচা-পাকা ধান চাষিরা কেটে নিচ্ছেন। 


    বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশা থেকে প্রায় ৫৫টি হাতির দল ঝাড়গ্রামে ঢুকেছে। নয়াগ্ৰাম ও কেশবরেখা রেঞ্জ এলাকায় দলটি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফসলি জমি এলাকায় অতর্কিতে তারা চলে আসছে। হাতির হানা রুখতে না পেরে চাষিরা বাধ্য হয়ে ধান কেটে নিচ্ছেন। ধান পুরোপুরি পাকতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। ফসল নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ মিলবে কি না, তার আশঙ্কা রয়েছে। আধপাকা ধানেও ভালো দাম মিলবে না। চাষিদের অভিযোগ, হাতি তাড়ানো নিয়ে বনদপ্তরকে জানানো হলেও সঠিক সময়ে বনকর্মীরা এসে পৌঁছন না। আবেদন করার পরেও ক্ষতিপূরণ সময়ে পাওয়া যায় না। এক বা দেড় বছর পর যা পাওয়া যায়, তা নিতান্তই কম। জমির সঠিক কাগজপত্র না থাকায় অনেক কৃষক আবার ক্ষতিপূরণের আবেদন জানাতে পারেন না। এলাকার চাষিদের অভিযোগ, বনবিভাগের গাফিলতিতে ওড়িশা থেকে আসা হাতির পালকে আটকানো যায়নি। হাতির দলটিকে আটকানো গেলে চাষিদের অসময়ে ধান কাটতে হতো না। আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে চাষিরা রক্ষা পেতেন। সাঁকরাইল ব্লকের দুধকুন্ডি গ্ৰামের বাসিন্দা শঙ্কর ঘড়ুই বলেন, এলাকায় আগে থেকেই সাতটি  হাতি তাণ্ডব চালাচ্ছিল। নতুন করে বড় হাতির পাল এলাকায় ঢুকেছে। জমির ধান পাকতে আরও কিছুটা সময় লাগতো। ধান না কাটলে মাঠের সব ধান হাতির দল নষ্ট করে দিতে পারে।  ভালো দাম পাবোনা জেনেও চাষীরাবাধ্য হয়ে কাঁচাপাকা ধান কেটে নিচ্ছেন। হাঁড়িভাঙা এলাকার চাষি মঙ্গল কাসুন্দি বলেন, এই সময় মাঠে পাকা ধান আছে। হাতির একটা বড় পাল ওড়িশা থেকে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে ঝাড়গ্ৰামে ঢুকেছে। হাতি ঢুকলে ফসল নষ্ট হবে। তারপরেও হাতির দলকে আগে থামানো গেল না। প্রশাসন ও বনবিভাগ যদি আগে পদক্ষেপ নিত, তাহলে চাষিদের এত ক্ষতির মুখে পড়তে হত না। ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের এক আধিকারিক বলেন, সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে রাতের অন্ধকারে হাতির পাল ঝাড়গ্রাম অতর্কিতে ঢুকে পড়ে। হাতির দলটিকে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।  ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)