• অফিসে ফেডারেশন, বাড়ি ফিরেই বিরোধীদের মিছিলে! ‘চক্রান্তকারী’দের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা
    বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: অফিসে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের ছত্রছায়ায়। অথচ বাড়িতে ফিরেই বিজেপি বা সিপিএমের মিছিল, মিটিংয়ে শামিল। জলপাইগুড়ি জেলা সম্মেলন থেকে এমন কর্মীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিলেন সংগঠনের রাজ্য আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, সর্ষের মধ্যে যদি কোনও ভূত থাকে, তা খুঁজে বের করতে হবে। ফেডারেশনের লোক দেখানো সদস্য হয়ে তলে তলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তের চেষ্টা চালাচ্ছেন, এমন কেউ থাকলে অবিলম্বে তার তালিকা তৈরি করতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে সংগঠন।


    প্রতাপ জানিয়ে দেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করতে হবে। শুধু নিজে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সদস্য হয়ে রইলাম, তা চলবে না। পরিবারের ভোটও যাতে তৃণমূলের ঝুলিতে আসে, নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্যে ৪২টির মধ্যে ২৬টি লোকসভা আসনে পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। বাকিগুলিতেও এগতে হবে। এজন্য সংগঠনকে আরও মজবুত করতে হবে। ফেডারেশনে কোনও লবিবাজি চলবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন সংগঠনের রাজ্য আহ্বায়ক। 


    তিনি আরও বলেন, ফেডারেশনে থেকে কেউ লবি করলেই তিনি ট্রান্সফার হবেন। চেয়ার থেকে টেনে নামিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে। ফেডারেশনের কোনও নেতা যেন ‘ছবি বিক্রি’ না করেন, তা নিয়েও সতর্ক করে দেন প্রতাপ। বলেন, সংগঠনের অনুষ্ঠানে কেউ আমার সঙ্গে ছবি তুলে তা দেখিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ভয় দেখালে কিংবা অশুভ আঁতাতের চেষ্টা করলে কড়া পদক্ষেপ নেবে সংগঠন। 


    সংগঠনের সম্মেলন থেকে বার্তা দেওয়া হয়, ফেডারেশনে নাম লিখিয়ে অফিসে কাজ করব না, এমনটা চলবে না। রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্পের কাজ ঠিকমতো যাতে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছয়, তা মাথায় রাখতে হবে। কাজে ফাঁকি দিয়ে সংগঠন করা যাবে না। অফিসে যাঁরা পরিষেবার জন্য আসেন, ভালো ব্যবহার করতে হবে তাঁদের সঙ্গে।


    স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য রণবীর দত্ত বলেন, ট্রান্সফার নিয়ে কোথাও কোথাও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ সামনে আসছে। এসব বরদাস্ত করা হবে না। কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠলে তিনি ফেডারেশনের যত বড় নেতাই হোন না কেন, সংগঠন থেকে বের করে দেওয়া হবে তাঁকে।


    সম্মেলন শুরুর আগে জলপাইগুড়িতে মিছিল করেন ফেডারেশনের সদস্যরা। সংগঠনের জেলা সভাপতি নিরুপম মুস্তাফি বলেন, গত বছর জলপাইগুড়িতে ফেডারেশনের সদস্য সংখ্যা ছিল ২২৫৪। এক বছরের মধ্যে তা বেড়ে হয়েছে ৩৮৫০ জন। কর্মীদের স্বার্থরক্ষা ছাড়াও সংগঠনের তরফে বৃক্ষরোপণ, কম্বল বিতরণ, রক্তসঙ্কট মেটাতে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো সামাজিক কাজও করা হচ্ছে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)