সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ির বাজারে আলুর দাম পৌঁছে গিয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরে। এদিকে বাঙালির আলু ছাড়া গতি নেই। তাই আলু কিনতে গিয়ে কার্যত নাকের জলে-চোখের জলে হওয়ার দশা মধ্যবিত্ত গৃহস্থের। আলুর দাম বাগে আনতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন তাঁরা। অন্যদিকে, খুচরো ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারদের কাছ থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে আলু। তাই দাম বেড়েছে।
আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে এর আগে প্রশাসন অভিযান চালিয়েছিল বাজারে। ময়নাগুড়ি নতুন বাজারের পাশাপাশি ময়নাগুড়ি পুরাতন বাজারেও অভিযান চালানো হয়েছিল ওই সময়। পরপর কয়েকদিন অভিযান হলেও এখন বন্ধ। ফলে দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
ময়নাগুড়ি বাজারে আলু কিনতে আসা জয়দেব রায় বলেন, দিনমজুরি করে সংসার চালাই। তার উপর যেভাবে আলুর দাম বাড়ছে তাতে অন্য আনাজ কেনাটাই দায় হয়ে পড়ছে। প্রতিটি সব্জির দামও বেশি। প্রশাসনের বিষয়টি দেখা উচিত। আর এক ক্রেতা সুপ্রিয় দাস বলেন, আমরা চাই প্রশাসন নিয়মিত নজরদারি চালাক। খুচরো বাজার ও পাইকারি বাজারের মধ্যে দামের পার্থক্যটা যাচাই করা হোক। গত সপ্তাহেও আলুর দাম ৩৫ টাকার মধ্যে ছিল।
ময়নাগুড়ির ব্লক কৃষি আধিকারিক মানসী বর্মন বলেন, আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে আমরা খোঁজখবর শুরু করছি। অন্যান্য ব্লকে কী দামে আলু বিক্রি হচ্ছে, সেটা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ময়নাগুড়ির বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু বলেন, বাজার বাজারে নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে। যেহেতু আবার অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতারা, তাই শীঘ্রই বাজারে অভিযানে যাওয়া হবে।
এদিকে, আলুর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ময়নাগুড়ি নতুন বাজার সব্জি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তপন রায় বলেন, মহাজনের ঘর থেকে ১৭০০ টাকা প্রতি বস্তা দরে আলু কিনতে হচ্ছে। তাঁরাই তো দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এক বস্তায় ৫০ কেজি আলু থাকে। আমরা তাহলে কত টাকায় বিক্রি করব? তাই কেউ কেউ দাম ৪০ টাকা কেজি নিচ্ছেন। নিজস্ব চিত্র।