অ্যাপ্রোচ রোড অনেক নিচু, মই দিয়ে সেতুতে ওঠেন বাসিন্দারা
বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, তপন: সেতু থেকে অ্যাপ্রোচ রোড অনেকটাই নিচু। গাছের ডাল, গুঁড়ি দিয়ে মই তৈরি করে পারাপার করতে হয় এলাকাবাসীকে। তপনের গাঙ্গুরিয়ায় শ্মশানে যাওয়ার সেই রাস্তা বেহাল থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে বাসিন্দাদের। তপন ব্লকের ৭ নম্বর রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কোঁচাকানা খাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে শ্মশান। পিচের রাস্তা থেকে শ্মশানের দূরত্ব প্রায় ১০০ মিটার হলেও দীর্ঘদিন মেরামত হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের দাবি, প্রায় বছর দশেক আগে শ্মশানে চুল্লি বসানো হলেও রাস্তা তৈরি হয়নি। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন। নেই দাহ করতে আসা মানুষজনের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থাও। বছর সাতেক আগে ওই শ্মশানে যাওয়ার রাস্তায় কোঁচাকানা খাঁড়ির উপরে সেতু তৈরি করা হলেও রাস্তা থেকে সেটি অনেকটাই উঁচুতে। বছর চারেক এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙুরিয়া, রামচন্দ্রপুর, টিকুলিয়া, মাধবপুর, পিতাকলা, নওপাড়া, কেয়াপুকুর, ভিকাহারসহ আশেপাশের প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষজন দেহ দাহ করতে নিয়ে আসেন এই শ্মশানে। সারা বছর যাতায়াতের সমস্যায় ভুগতে হয় এলাকাবাসীদের। তবে বর্ষার সময় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছয়। জলকাদা ভরা রাস্তা দিয়ে মৃতদেহ নিয়ে যেতে হয়। সমস্যার কথা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে বহুবার জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। শ্মশানের সার্বিক উন্নয়নের জন্য গত বছর জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। তারপরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। গাঙ্গুরিয়ার বাসিন্দা খগেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, বর্ষাকালে যে শুধু কাদা জমে তা নয়, পাশেই খাঁড়ি থাকায় অনেক সময় জলে ডুবে যায় রাস্তা। অবিলম্বে মাটি ভরাট করে রাস্তা উঁচু করা প্রয়োজন। প্রায় ১০ বছর হয়ে যাওয়ায় শ্মশানের বিশ্রামঘরের টিনের ছাউনি ভেঙে জল পড়ে। শ্মশানের চুল্লিরও বেহাল দশা। বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে অন্ধকারে দাহ করতে হয়। পানীয় জলের ব্যবস্থাও চাই আমরা। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গণেশ হাঁসদা বলেন, সমস্যার কথা আমার জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামণি বিহাকে ফোন ও মেসেজ করা হলেও তিনি প্রতিক্রিয়া জানাননি।-নিজস্ব চিত্র