• শেওড়াফুলিতে সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় তৃণমূলের 
    বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: শেওড়াফুলি-বৈদ্যবাটি সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে বিরাট জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটগ্রহণের পর রবিবারই ফল ঘোষণা হয়েছে। তাতে ৪৪টি আসনের মধ্যে ৪২টিতেই জয় পেয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। অন্যদিকে, দু’টি আসনে জয় পেয়েছে বিরোধীরা। এই নির্বাচনে বাম-বিজেপি সহ বিরোধীদের মহাজোট তৈরি হয়েছিল। সেই জোট অবশ্য পর্যুদস্ত হয়েছে। এদিকে, নির্বাচনের মাঝপথেই রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেন মহাজোটের প্রার্থীরা। শেওড়াফুলি ফাঁড়ির সামনে পরে তাঁরা পথ অবরোধ করেন। প্রায় আধঘণ্টা অবরোধ চলার পরে পুলিস তা তুলে দেয়। প্রসঙ্গত, আইনি জটিলতায় এই সমবায়ে প্রায় ১৫ বছর নির্বাচন হয়নি। সমবায় ব্যাঙ্কের প্রায় ১৩ হাজার সদস্য। এতদিন ভোট না হওয়ায় তাঁদের মনে এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। 


    এদিন বিপুল জয়ের পরে তৃণমূল শিবির আবির খেলায় মেতে ওঠে। জয়ী সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর জেলার সভাপতি অরিন্দম গুঁইন। তিনি বলেন, বামেরা এই সমবায়ে মৌরসিপাট্টা গড়ে রেখেছিল। ক্ষমতা ধরে রাখতে আদালতে মামলা করে সদস্যদের অধিকার খর্ব করেছিল তারা। বছরের পর বছর নির্বাচন করতে দেয়নি। এবার সুযোগ পেয়ে সদস্যরা বামেদের মুখের উপর জবাব দিয়েছেন। যাঁরা রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন, তাঁরাই বেআইনিভাবে নির্বাচন বন্ধ করে রেখেছিলেন। আরেক তৃণমূল নেতা তথা বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাত বলেন, বাম, বিজেপি সহ বিরোধীরা অনৈতিক জোট করেছিল। সদস্যরা সেই অশুভ আঁতাতকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এদিন অবরোধ বিক্ষোভে নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির জেলা নেত্রী রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সরকারি ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ভোটের নামে প্রহসন করেছে তৃণমূল।


    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিরাট সংখ্যক ভোটার থাকায় বৈদ্যবাটি ও শেওড়াফুলির একাধিক স্কুলে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছিল। বিপুল পুলিস বাহিনী নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। সমবায় দপ্তরের কর্তাদের কড়া নজরদারির মধ্যে ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ভোটে অনিয়মের কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।
  • Link to this news (বর্তমান)