• ‘নিয়ম বিরুদ্ধ বদলি আর বেতন বন্ধ,’ অসুস্থ মা-সন্তানদের নিয়ে অথৈ জলে চিকিৎসক
    বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিয়ম বিরুদ্ধভাবে বদলি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে। একাধিক আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এমনকী স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশেও কাজ হয়নি। স্বাস্থ্যদপ্তর ভ্রুক্ষেপই করেনি বলে অভিযোগ এক চিকিৎসকের। এখন অসুস্থ বৃদ্ধা মা ও দু’সন্তানকে নিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন বেলু঩ড়ের বাসিন্দা নরেন সরকার নামে ওই চিকিৎসক। প্রায় দু’বছর তাঁর বেতনও বন্ধ বলে অভিযোগ। 


    ফরেন্সিক মেডিসিন অ্যান্ড টক্সিকোলজি বিভাগের চিকিৎসক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে কর্মরত নরেনবাবু জানান, ২০০৫ সালে তিনি ডেমনস্ট্রেটর হিসেবে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর ২০০৭ সালে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়। তারপর ২০১০ সালে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ফেরত আনা হয়। ২০১৫ সালে তিনি এমডি কোর্স করতে যান। সম্পূর্ণ করে ২০১৯ সালের মে মাসে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে উন্নীত হন। এরপর দু’বছর কাটতে না কাটতেই তাঁকে বদলি করা হয় সাগর দত্ত হাসপাতালে। এরপর বদলি নীতির বিপক্ষেই আট মাসের মধ্যে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে বদলি করা হয়। তাঁর স্ত্রীও সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। বর্তমানে পুরুলিয়ায় কর্মরত। তাই তিনি নিজের বাড়ির কাছাকাছি বা পুরুলিয়ায় বদলির আবেদন জানান। কিন্তু ছ’বার আবেদন জানালেও তা মঞ্জুর হয়নি। স্যাট স্বাস্থ্যদপ্তরকে বিষয়টি দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।


    নরেনবাবুর বক্তব্য, নয়া বদলি নীতিতে স্পষ্ট বলা, যে জেলার বাসিন্দা সে জেলাতে বদলিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিষয়টিতে জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। স্বামী-স্ত্রী একই দপ্তরে কর্মরত হলে তাঁরা যাতে একই জেলায় থাকতে পারেন সে বিষয়টিও বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। এছাড়া স্বজনের অসুস্থতা বাবা-মায়ের দেখাশোনা এসব বিষয়ও সহানুভূতির সঙ্গে দেখতে বলা আছে। অথচ কোনও কারণে তাঁর আবেদন কার্যকর করা হচ্ছে না। ফলে অসুস্থ মা ও দু’সন্তানকে নিয়ে তিনি অথৈ জলে। 
  • Link to this news (বর্তমান)