জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ১০০ ডায়ালে ফোন করেন বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা এক ব্যক্তি। প্রতিবেশী এক যুবক তাঁর বাবাকে ঘরে আটকে রেখে মারধর করছেন বলে পুলিশে অভিযোগ জানান ওই ব্যক্তি। খবর পেয়ে স্থানীয় বাঁশদ্রোণী থানার দুই পুলিশকর্মী এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ার ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি আক্রান্ত বৃদ্ধকে উদ্ধার করতে একটি অ্যাম্বুল্যান্সও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পুলিশের তরফে। কিন্তু বৃদ্ধকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তাঁদের উপরে চড়াও হন বৃদ্ধের ছেলে রুদ্রদেব ভট্টাচার্য। অভিযোগ, ছুরি, কাটারি নিয়ে এক পুলিশকর্মীর দিকে তেড়ে যান তিনি। এলোপাথাড়ি মারধর করেন তাঁকে। এমনকি, ভেঙে দেন অ্যাম্বুল্যান্সের কাচ। সিভিক ভলান্টিয়ার বাধা দিতে গেলে তাঁকেও অভিযুক্ত মারধর করেন বলে অভিযোগ। পুলিশকে কার্যত দৌড়ে পাশের বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় নিতে হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ হাতে কাটারি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শাসাতেও দেখা যায় অভিযুক্ত যুবককে।
এর পরে বাঁশদ্রোণী থানা থেকে বাহিনী গিয়ে আক্রান্ত পুলিশকর্মী এবং বৃদ্ধকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি, অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আক্রান্ত পুলিশকর্মী এবং বৃদ্ধকে চিকিৎসার জন্য এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘সম্পত্তিগত বিষয় নিয়ে বাবা-ছেলের বিবাদ। এই বিবাদের জন্য মাঝেমধ্যেই বৃদ্ধকে মারধর করত রুদ্রদেব। এ দিন সকাল থেকে বাবাকে আটকে রেখে মারধর করছিল সে। হুমকির ভয়ে প্রতিবেশীরা কেউ ঠেকাতেও যেতে পারছিলেন না। নিরুপায় হয়েই আমরা পুলিশে খবর দিই।’’ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তাতে সরকারি কর্মীর কাজে বাধা দেওয়া, মারধর-সহ একাধিক ধারা যোগ করা হয়েছে।
দিন কয়েক আগে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকাতেও আক্রান্ত হতে হয়েছিল এক ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীকে। মালঞ্চ সিনেমার সামনে দুই পক্ষের গোলমাল থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হন এক ইনস্পেক্টর। তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করতে হয়। বার বার এমন ঘটনায় নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, পুলিশই আক্রান্ত হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?