সম্প্রতি ভুবনেশ্বরে সিআইএসসিই বোর্ডের অধীনস্থ সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব আইএসসি স্কুলস’-এর অধ্যক্ষদের সম্মেলনে এমনটাই উঠে এসেছে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিআইএসসিই বোর্ডের সচিব জোসেফ এমানুয়েল-সহ শিক্ষা জগতের বিশিষ্টেরা। জোসেফ জানান, আগামী দিনে পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে শুরু করে পাঠ্যসূচিতে জাতীয় শিক্ষানীতিকে আরও বেশি অনুসরণ করা হবে। কিছু বদলও আসছে।
অধ্যক্ষদের মতে, দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর তখনই দেওয়া যাবে, যখন বিষয়টি সম্পর্কে পড়ুয়ার স্বচ্ছ ধারণা থাকবে। শুধু পড়া মুখস্থ করেই প্রশ্নপত্রের সব উত্তর দেওয়া যাবে না। বরং, চিন্তা করে উত্তর দিতে হবে। সরাসরি নয়, প্রশ্ন আসবে একটু ঘুরিয়ে। তবে পড়ুয়াদের অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, এ রকম প্রশ্নের নমুনা দেওয়া হয়েছে বোর্ডের ওয়েবসাইটে। তা দেখে অনুশীলন করলে এমন প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার হবে। এ ছাড়াও তৃতীয়, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়াদের আলাদা মূল্যায়ন হবে। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ইংরেজি, অঙ্ক এবং বিজ্ঞান বিষয়ক প্রশ্ন থাকবে। এই মূল্যায়নের ভিত্তিতে আগামী দিনে উচ্চশিক্ষায় কোনও পড়ুয়া কোন বিষয়ের উপরে পড়াশোনা করতে পারে, কোন বিষয়ের উপরে তার পছন্দ আছে, তা-ও বোঝা যাবে।
পড়ুয়াদের সার্বিক বিকাশ কেমন হচ্ছে, তা জানতে আগামী বছর থেকে রাজ্যের শিক্ষা দফতর হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড তৈরি করার কথা বলেছে স্কুলগুলিকে। সিআইএসসিই বোর্ডের অধীনস্থ স্কুলগুলির অধ্যক্ষেরা জানান, তাঁদের বোর্ডের অধীনে স্কুলের পড়ুয়াদেরও হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড তৈরি হবে। এত দিন নবম এবং দশমে কৃত্রিম মেধা এবং রোবোটিক্স বিষয় দু’টি ছিল। এই দু’টি বিষয়ের চাহিদা দেখে আগামী বছর থেকে একাদশ ও দ্বাদশেও রোবোটিক্স এবং কৃত্রিম মেধা দু’টি আলাদা বিষয় করে দেওয়া হচ্ছে।