• সাঁকো ভাঙা! সাইকেল ঘাড়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পেরিয়ে স্কুলে যায় পড়ুয়ারা...
    ২৪ ঘন্টা | ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • প্রদ্যুত দাস: নেই পাকা সেতু, পারাপারের একমাত্র ভরসা ছিল বাঁশের সাঁকো, তা-ও ভাঙা। স্কুলপড়ুয়ারা জামাকাপড়, জুতো হাতে নিয়ে জল পেরিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল ঘাড়ে করে নদীর জল ডিঙিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। কোলের শিশুকে নিয়ে নদী পেরিয়ে যাতায়াত করেন মায়েরা। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তি ও চরম সমস্যায় সাধারণ বাসিন্দারা। তবে পাশে থাকার আশ্বাস সদর বিডিও-র।

    বাঁশের সাঁকো ভাঙা, তাই নদীর জল পেরিয়েই চলছে স্কুলে যাতায়াত। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির সাহেববাড়ি প্লেনঘাটি-সংলগ্ন এলাকা। এই এলাকার মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে পাঙ্গা নদী। সারা বছর ধরে কমবেশি জল থাকে। এলাকার উদ্যোগে নদীর উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি হলেও তা বর্ষাকালে জলের তোড়ে ভেঙে যায়। ফলে ওই এলাকার স্কুল, কলেজ, অফিস কাছারি ও ব্যবসায়ী লোকজন প্রায়ই সমস্যায় পড়েন। কাছেই মুন্নাজ হ্যাপি হোম স্কুল। স্কুলের সময়ে দেখা গেল ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই নদী পার হচ্ছে। ছাত্রদের ট্রাউজার খুলে চটি হাতে নিয়ে নদী পার হতে দেখা গেল।

    সাগরিকা রায়, অভিজিৎ বর্মনের বলেন, কম সময়ে আমাদের স্কুলে যাওয়ার এটাই রাস্তা। নদীর উপর বাঁশের সেতু ভেঙে যাওয়ায় এভাবেই জল পেরিয়ে স্কুলে যাচ্ছি। এভাবে না গেলে তিন-চার কিলোমিটার পথ ঘুরে স্কুলে যেতে হত। রুপালী রায়, শচীন রায়েরা বলেন আমরা অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। বাজার থেকে শুরু করে নানা কাজে আমাদের নদীর ওপারে পাঙ্গা সাহেব বাড়ি এলাকায় যেতে হয়। তাড়াতাড়ি যাওয়ার এটাই রাস্তা। এই নদীর উপর সেতু হলে ভালই হয়।

    যদিও এ বিষয়ে সোমবার বিকেল নাগাদ জলপাইগুড়ি সদর বিডিও মিহির কর্মকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খুব শীঘ্রই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ছাত্রছাত্রী এবং এলাকার মানুষজনের সুবিধার্থে প্রয়োজনে আপাতত বাঁশের সাঁকো তৈরি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সমস্যা সমাধানে যা প্রয়োজন তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)