• বিধানসভায় চা বাগান নিয়ে তর্ক বিজেপি বিধায়কের, ‘মিথ্যে বলবেন না’, পালটা মুখ্যমন্ত্রী
    প্রতিদিন | ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির মাঝে চা বাগান ইস্যু উঠতেই তর্ক জুড়লেন কালচিনির বিশাল লামা। তাঁকে কার্যত এককথাতেই থামিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতেই কিছুটা তাল কাটল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চা বাগান সংক্রান্ত তথ্য শুনে তর্ক বেশি দূর এগোতে পারেননি বিজেপি বিধায়ক বিশাল লামা। পরবর্তীতে ফের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা নিজের দপ্তরের কার্যালবলি নিয়ে বিবৃতি দেন।

    কথা ছিল, সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের প্রথমার্ধ্বে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেবেন। একাধিক বিষয় বিবৃতি দেবেন তিনি। রাজ্যের পর্যটন চিত্রের কথা বলতে গিয়ে উঠে আসে চা বলয়ের প্রসঙ্গ। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”ট্যুরিজম অনেক বিস্তৃত এখানে। অনেক পলিসি হয়েছে। চা বাগানে ১৫% জমিতে আমরা কাজ করছি। শ্রমিকরা কাজ করছেন। বড় বড় হোটেল হচ্ছে। ইউনেস্কো বলেছে, বেঙ্গল ট্যুরিজম ডেস্টিনেশন। আমাদের টি ট্যুরিজম আছে, ট্র্যাডিশনাল ট্যুরিজম আছে।” চা বাগানে পর্যটন শিল্পের কথা বলা মাত্রই কালচিনির বিজেপি বিধায়ক বিশাল লামা বলে ওঠেন, ”ডুয়ার্স, বক্সা, কালচিনিতে অনেক জায়গায় বন্ধ হচ্ছে চা বাগান।”

    তা শুনে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ করেন। বলেন, ”যা বলবেন বলুন, মিথ্যা বলবেন না। ওখানে যতটুকু যা করেছি, আমাদের সরকারই করেছে। এলাকায় যান, ঘুরুন, কী হয়েছে দেখুন চা বাগানে।” বন্ধ চা বাগান খোলা নিয়ে কেন্দ্র বিস্তর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এতদিন। প্রায় প্রতি নির্বাচনী প্রচারেই চা বাগান খোলা নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু তা আর বাস্তবায়িত হয় না। বরং বন্ধ হওয়া চা বাগানগুলির শ্রমিক পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার। শুরু হয়েছে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া। বিধায়ক বিশাল লামাকে সেসবই মনে করালেন মুখ্যমন্ত্রী। বাস্তব মেনে অবশ্য বিজেপি বিধায়কও অযথা তর্ক বাড়াননি। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)