আজ,সোমবার নবান্নে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যদি কেউ অপব্য়বহার করে, তার নিজের অঞ্চলকে সার্ভ করার জন্য, বাকি অঞ্চলকে ফাঁকিবাজি দেওয়ার জন্য়, সরকার বরদাস্ত করবে না। এটা অপরাধ। এগ্রিকালচার, PWD, সেচ, বিদ্যুত্, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি, এই পাঁচ দফতর একসঙ্গে সমণ্বয় করে, আগে কোনও সমণ্বয় ছিল ডিএম আর বিডিও-দের সঙ্গে। ফলে সমস্যাটা হয়েছে। এই সমস্যাটা মেটাতে হবে নিজেদের মধ্যে সমণ্বয় বাড়িয়ে। যাঁর যেটুকু দোষত্রুটি আছে শুধরে নিন'।
বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের পাল্টা কটাক্ষ, 'PHE জল সরবারহ করে, কিন্তু PHE-র অনুমতি না নিয়ে বাড়ি বাড়ি জল দেওয়া হবে, বল্লভপুরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত, তারা ৫ হাজার টাকা করে নিচ্ছে। বাড়ি বাড়িতে আজ পর্যন্ত জলও পৌঁছয়নি, পাইপও পৌঁছয়নি। মুখ্যমন্ত্রী, আর কতদিন বাংলার মানুষকে বোকা বানাবেন'! তাঁর কথায়, আবার ওই ধবধবে শাড়ি, লিনেন-র সাদা শাড়ি, ৩০ হাজার প্রায় যার দাম। তারমধ্যে রক্তের দাগও আছে, কালো দুর্নীতির দাগও আছে'।
ঘটনাটি ঠিক কী? ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। রাজ্যজুড়ে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জেলায় জেলায় বেশ কিছু জায়গায় পাইপ লাইন পৌঁছলেই জল মিলছে না বলে অভিযোগ। এর আগে, বৃহস্পতিবারও জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।