পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমিক জেরায় জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর ওই বন্ধু দু’জনে একসঙ্গে ভিন্রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বর্তমানে তিনি পুণেতে রয়েছেন। শুরুতে নাবালিকাকে নিজের বোন বলে পরিচয় দিয়েছিলেন ধৃত প্রেমিক। তাঁর সূত্রেই প্রেমিকার সঙ্গে ওই যুবকের যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল। ভীমপুরের নারায়ণপুরে প্রেমিকার সঙ্গে একাধিক বার দেখা করতে যাওয়ার সময় বন্ধুকেও সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন ধৃত যুবক। নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার দিনেও তার সঙ্গে ওই যুবকের কথা হয়েছিল বলেই জেরায় দাবি করেছেন প্রেমিক।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রেমিকের এক বন্ধুর সঙ্গে নাবালিকার মৃতের একাধিকবার কথা হয়েছিল ঘটনার দিন। সেই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক নতুন তথ্য সামনে আসবে। তবে সেই বন্ধুর ফোন সুইচড অফ রয়েছে। তার খোঁজ চলছে।’’
চার দিন নিখোঁজ থাকার পর গত সপ্তাহে ভীমপুরের নবম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল খালপাড় থেকে। নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। তার তদন্তে নেমে প্রেমিক যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই খালপাড়ে মাটি খুঁড়ে ১৭ বছরের মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়।