কৌটো নাচানোর দিন শেষ, চাঁদা নিতে বাড়ি বাড়ি প্লাস্টিকের ভাঁড় পাঠাচ্ছে বামেরা
এই সময় | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
কৌটো নিয়ে গিয়ে চাঁদা সংগ্রহ করে সিপিএমের নির্বাচনী তহবিল গড়ার সংস্কৃতি দীর্ঘদিনের। দিন বদলাচ্ছে। প্রচারের কৌশল থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে আধুনিকতার প্রলেপ দেওয়া শুরু হয়েছে। এ বার অর্থ সংগ্রহের প্রচলিত পন্থারও বদল আনল বামেরা। রাস্তায় কৌটো নাচানোর পরিবর্তে বাড়ি বাড়ি প্লাস্টিকের ভাঁড় পৌঁছে দিচ্ছেন কমরেডরা। জেলা সম্মেলনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে নয়া উদ্যোগ দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে।
খড়গপুরের তিনটি ও খড়গপুর গ্রামীণ এলাকার চারটি এরিয়া কমিটি মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের বাড়িতে একটি করে প্লাস্টিকের ভাঁড় পৌঁছে দেওয়া হবে। সেখানে সামর্থ্য অনুযায়ী পরিবারগুলিকে রোজ কিছু টাকা বা খুচরো পয়সা জমানোর কথা বলা হচ্ছে। সম্মেলনের আগে জানুয়ারি মাসের প্রথম দশ দিনের মধ্যে ওই ভাঁড়গুলি সংগ্রহ করা হবে। সেখান থেকে সংগৃহিত অর্থ সম্মেলনের কাজে লাগানো হবে।
ইতিমধ্যে ভাঁড় বিতরণের কাজ খড়গপুর শহর দক্ষিণ এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে শুরু করা হয়েছে। এরিয়া কমিটির অধীনে পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের ১৫টি শাখা কমিটি রয়েছে। প্লাস্টিকের ভাঁড় বিতরণের কাজ মূলত দলের শাখা কমিটির নেতা ও কর্মীরা করছেন। সঙ্গে এরিয়া কমিটির নেতারাও উপস্থিত থাকছেন।
খড়গপুর শহর পশ্চিম এরিয়া কমিটির সম্পাদক মধুসূদন রায় বলেন, ‘আমরা সব কিছু প্রস্তুত করে ফেলেছি। আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই সমস্ত এলাকায় এই ভাঁড় বিতরণের কর্মসূচি শুরু করছি।’ তিনি জানান, এই এরিয়া কমিটির অধীনে পুরসভার ১১টি ওয়ার্ডের ১০টি শাখা কমিটির ১১৫টি পরিবারে ছোট প্লাস্টিকের এই ‘টাকা জমানোর ঘট’ পৌঁছে দেওয়া হবে। এক জন পার্টি সদস্যের দায়িত্বে তিনটি পরিবার দায়িত্ব থাকবে।
এ বার সিপিএমের জেলা সম্মেলন হচ্ছে রেল শহর খড়গপুরে। শহরের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকার অন্ধ্র হাইস্কুলে আগামী ১২ ও ১৩ জানুয়ারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জেলা সম্মেলনে প্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে মোট ৫০০ জনের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। সব মিলিয়ে খরচ অনেক। ভোটের ভাঁড় ‘শূন্য’ হলেও এই ভাঁড়ে সমর্থকরা দু’হাত উপুড় করে দেবেন? প্রশ্ন রয়েই গেল।