আজকাল ওয়েবডেস্ক: মিঠা মে তিখা। বাংলা করলে বোঝায় মিষ্টিতে ঝাল। অনেকটা যেন সোনার পাথরবাটির মতো। কিন্তু বাস্তবে তাই ঘটেছে। সীতাভোগ, মিহিদানার জেলা বলে পরিচিত বর্ধমানে এখন এই মিষ্টির টানেই দোকানে ছুটছেন মিষ্টি প্রেমীরা। বাজারে যার পরিচিতি 'লঙ্কা রসগোল্লা' নামে।
খেতে ঠিক কীরকম লাগছে? ঝাল ও মিষ্টি, দু'রকম স্বাদই পাওয়া যাবে এই মিষ্টিতে। ফলে সচরাচর 'মিষ্টিমুখ' বলতে যেটা বোঝায় সেটা হবে না। মিষ্টি ও ঝাল, দুটোর মিশেল। তবে ঝাল এমন নয় যে তার জেরে চোখে জল এসে যাবে। মিষ্টির মধ্যে একটা হাল্কা ঝাল। যেটা ঠিক বুঝে ওঠার আগেই আবার মিষ্টির স্বাদে হারিয়ে যেতে হবে। হাল্কা রেশ। মনে হবে কীরকম যেন একটা ঝাল ঝাল লাগল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে ঝাল অথচ ঝাল নয় ধরনের এই মিষ্টি কীভাবে তৈরি হচ্ছে? মিষ্টির কারিগররা জানাচ্ছেন, ছানা, চিনি ও কাঁচালঙ্কা লাগছে। তবে এমনি লঙ্কা নয়, আচার বানাতে যে বড় সবুজ লঙ্কা লাগে সেই লঙ্কা ব্যবহার হচ্ছে এই মিষ্টির জন্য। তবে বানানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে ঝাল যেন হাল্কা হয় ও মিষ্টি যেন কম থাকে।
বর্ধমানের বি সি রোডের একটি দোকানে এই মিষ্টি পাওয়া যায়। দোকানের মালিক জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে কলকাতায় রসগোল্লা উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে এই মিষ্টি তাঁরা প্রথম বানিয়েছিলেন। জিনিসটা সবাই সাদরে গ্রহণ করলে উৎসাহিত হয়ে তাঁরা এই মিষ্টি অন্য সময়েও বিক্রির জন্য তৈরি করতে থাকেন। যা খাইয়েও তৃপ্তি, খেয়েও তৃপ্তি।
ইতিপূর্বে রসগোল্লার জগতে একাধিক নতুন নতুন নামে রসগোল্লা এসেছে। চিনির তৈরি সাদা রসগোল্লার পাশাপাশি এসেছে গুড়ের রসগোল্লা, কমলা রসগোল্লা বা অন্যান্য আরও নানারকম রসগোল্লা। এই ধরনের প্রতিটি রসগোল্লা দেখতে আলাদা আলাদা রঙের হলেও চরিত্রের দিক দিয়ে সকলেই মিষ্টি। কিন্তু 'চিলি রসগোল্লা' হল ঝাল ও মিষ্টির মিশ্রণ। যা অবশ্যই আলাদা কিছু বটে।