বাবুইশোলের শিশু উদ্যানটি নষ্ট হয়ে এখন জঙ্গল, খেলার সামগ্রী চুরি, সংস্কারের দাবি
বর্তমান | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: জমি সমতলীকরণ প্রকল্পে গড়ে ওঠা অণ্ডাল থানার বাবুইশোল এলাকায় সুসজ্জিত শিশু উদ্যানটি জঙ্গলের রূপ নিয়েছে। অভিযোগ, শিশুদের খেলার সরঞ্জামগুলি ভেঙেচুরে গিয়েছে। উদ্যানের সীমানা ঘেরার লোহার রেলিং সহ সমস্ত সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে বড়বড় গাছপালা গজিয়ে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে উদ্যানটি। এলাকাবাসীর দাবি, শিশু উদ্যানটির সংস্কার করলে উপকৃত হতেন এলাকাবাসী। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবুইশোল এলাকায় বুড়োবাঁধ জলাশয় সংলগ্ন একটি বিশাল আকারের কৃত্রিম মাটির পাহাড় আছে। খোলামুখ কয়লাখনি করার সময় মাটি জমা হয়ে ওই পাহাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ওই পাহাড় ও জলাশয়কে কেন্দ্র করে পাহাড়ের চূড়া সমতল করে উদ্যানটি গড়ে তোলা হয়েছিল। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে অণ্ডালের তৎকালীন বিডিও মানস পান্ডার উদ্যোগে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের আওতায় তৈরি হয় এই শিশু উদ্যান। সেখানে ছিল শিশুদের জন্য দু’টি দোলনা সহ একাধিক খেলার সরঞ্জাম। ফুল ও বাহারী গাছ দিয়ে সুসজ্জিত বাগানও করা হয়। এছাড়াও একটি টিনের চালা ঘর ও দু’টি কংক্রিটের ঘর রয়েছে। শিশুদের নিরাপত্তার জন্য উদ্যানটির সীমানা লোহার ব্যারিকেড করা ছিল। বহু মানুষ প্রতিদিনই শিশুদের নিয়ে ওই উদ্যানে ভিড় করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রাহুল ভাণ্ডারী ও প্রসূন নায়েক বলেন, এলাকার সৌন্দর্যায়নের জন্য ও শিশু সহ এলাকাবাসীর জন্য উদ্যানটি খুবই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নজরদারির অভাবে গড়ে ওঠার কয়েক বছরের মধ্যে পরিকাঠামো ভেঙে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। দুষ্কৃতীরা প্রায় সমস্ত কিছু চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। ব্যারিকেডের লোহার রেলিং কেটে নিয়ে গিয়েছে। আমরা একবার দুষ্কৃতীদের হাতেনাতে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। এখনও যে অবশিষ্টাংশ রয়েছে, তাও আমাদের নজরদারির জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা স্নেহাশিস মণ্ডল ও পল্লব ঘাঁটি বলেন, পাহাড়ের ওপর সুন্দর একটা পিকনিক স্পট হিসাবে ছিল এই উদ্যানটি। উদ্যানটি সংস্কার করা হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থ দেওয়াসি বলেন, এলাকার মানুষের জন্য এই ধরনের একটা নতুন প্রকল্প গড়ে তুলতে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ জোগাড় করতে হয়। মানুষজন সচেতন না হলে পঞ্চায়েত থেকে রক্ষণাবেক্ষণ অসম্ভব হয়ে ওঠে। উদ্যানটি স্থানীয় মানুষজন দেখাশোনার জন্য সহযোগিতা করলে নতুন করে সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।