দেড় কোটি ব্যয়ে তৈরি ভবন পড়েই, চালু করা যায়নি ক্লাস
বর্তমান | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, করিমপুর: প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করেকরিমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে কয়েক বছর আগেই।কিন্তু পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে আজও সেই ভবনের প্রায় ২২টি শ্রেণিকক্ষ চালু করা যাচ্ছে না। ফলে বেশি সংখ্যক ছাত্রীকে নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হচ্ছে স্কুলে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার মেয়েদের শিক্ষার জন্য একসময় এই স্কুল নির্মিত হয়। করিমপুর বা লাগোয়া অন্যান্য স্কুলগুলিতে যখন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দেড় হাজারেরও কম, সেখানে এই স্কুলের বর্তমান পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। ছাত্রীদের সমস্যার কথা ভেবে স্কুলের কাছে নিজস্ব এক বিঘা জমিতে এই নতুন ভবন তৈরির পরিকল্পনা করা হয় এবং পনেরো বছর আগে শুরু হওয়া এই স্কুলের ভবন তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ওই স্কুলে প্রয়োজনীয় কাঠের চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ কিংবা শৌচালয়, বিদ্যুতের ব্যবস্থা না হওয়ায় এখনও তা চালু করা যায়নি। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় নতুন ভবন এখন আগাছায় ভরে গিয়েছে। আদতে কবে স্কুলের নতুন ভবনে ক্লাস শুরু হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলাকার মানুষের মধ্যে। অভিযোগ, ছাত্রী সংখ্যার অনুপাতে যেমন শ্রেণিকক্ষের সমস্যা রয়েছে, তেমনি রয়েছে শিক্ষকের অভাব। স্কুলে ৪০ জনের বেশি স্থায়ী শিক্ষকের জায়গায় শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ২৪ জন। এছাড়াও আংশিক সময়ের শিক্ষক, পার্শ্ব শিক্ষক ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়ে মোট ৩৫ জন শিক্ষিকা রয়েছেন।
স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি অনুদেব মজুমদার বলেন, বর্তমানে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য পুরনো ভবনে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ নেই। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য স্কুলের সামান্য দূরত্বে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে এই নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে। সরকারি টাকার পাশাপাশি স্কুলের কয়েকজন সহৃদয় ব্যক্তি এই শ্রেণিকক্ষ নির্মাণে আর্থিক সাহায্য করেছেন। কিন্তু টাকার অভাবেশৌচাগার, চেয়ার টেবিল বা জলের মতো আনুষঙ্গিক কাজ সম্পূর্ণ করতে এখনও প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। এই টাকা সাহায্যের জন্য বারবার দপ্তরের বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জু সরকার জানান, স্কুলের নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নতুন ভবনে করার কথা ভাবা হয়েছে। কিন্তু অর্থের সমস্যার কারণে এখনও নতুন ভবনটির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। অর্থের জন্য সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানানো হয়েছে। করিমপুর ১ বিডিও দেবদত্ত চক্রবর্তী বলেন, ব্লক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য ৪০ লক্ষ টাকার কাজ চলছে। তাছাড়াও বাকি আনুষঙ্গিক সমস্যা সমাধান করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।