• তিস্তা ব্যারেজ দিয়ে ডাম্পার চলাচলের দাবিতে অবরোধ
    বর্তমান | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজের উপর দিয়ে ডাম্পার চলাচলের দাবিতে সোমবার ফের বিক্ষোভ হল। দিন পনেরো আগে এই দাবিতে গজলডোবায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ডাম্পার মালিক ও চালকরা। একইভাবে এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে মালব্লকের গজলডোবা ১০নম্বর কলোনির রাজ্যসড়ক অবরোধ করেন ডাম্পারের মালিক, চালক ও শ্রমিকরা। এঘটনায় ব্যাপক যানজট হয়। রাস্তার দুধারে সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। দুর্ভোগে পড়ে বাস সহ অন্য যাত্রীরা। বিকেল তিনটা নাগাদ মাল থানার পুলিস এসে  অবরোধ তুলে দেয়।

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ,তিস্তা ব্যারেজ মেরামত করার নাম করে গত দু’মাস যাবত ব্যারেজের উপর দিয়ে ৬টনের উপর গাড়ি চলাচল বন্ধ করেছে প্রশাসন। ওদলাবাড়ির বিভিন্ন নদী থেকে প্রচুর ডাম্পার বালিপাথর নিয়ে শিলিগুড়ির দিকে যায়। আর এদের ওজন ছয় টনের বেশিই হয়। তাই তাদের গাড়িগুলো এই ব্যারেজের উপর দিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না। এর জেরে ডাম্পার মালিকরা বালিপাথর সাল্পাই বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। এর জেরে শ্রমিক থেকে শুরু করে গাড়ির মালিকরা বিপদে পড়েছেন। 

    ১৫ দিন আগে একই দাবিতে এই এলাকায় অবরোধ করেছিলেন ডাম্পার মালিক,  চালক ও শ্রমিকেরা। সেদিনই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, ১৫দিনের মধ্যে ব্যারেজ দিয়ে গাড়ি চলাচলের অনুমতি না দেওয়া হলে ফের অবরোধ করা হবে। এবারে সেই ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন কোনও সদর্থক ভূমিকা নেয়নি। তাই এদিন ফের অবরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

    ডাম্পার মালিক তথা এলাকার বাসিন্দা গীতা সরকার বলেন, বর্ষাকালে তিনমাস নদী থেকে বালি তোলা বন্ধ ছিল। তারপর নদী থেকে বালি পাথর তোলা শুরু হতেই প্রশাসন তিস্তা ব্যারেজ দিয়ে ৬টনের ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ করল। আমরাও বালিপাথর তোলা বন্ধ করে দিলাম। দুমাস ধরে কোনও রোজগার নেই। গাড়ির চালক, শ্রমিকরাও বিপদে পড়েছেন। আমরা চাই, দ্রুত তিস্তা ব্যারেজের উপর দিয়ে গাড়ি চলার অনুমতি দিক প্রশাসন। 

    মাল থানার আইসি সমীর তামাং বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে অবরোধ তুলে দিয়েছি। তাদের দাবির বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট মহলে জানিয়ে দেব।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)