কমছে তাপমাত্রা, শীতের দৌড় শুরু গৌড়বঙ্গে সকালে পারদ আরও নামবে কয়েকদিনে
বর্তমান | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: ডিসেম্বরের শুরুতেই স্পষ্ট আভাস মিলছে আবহাওয়া পরিবর্তনের। ক্রমশ শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। গৌড়বঙ্গের বাসিন্দারা প্রায় সকলেই গায়ে চাপিয়েছেন গরম পোশাক। তাপমাত্রা কয়েকদিনের মধ্যে আরও কমবে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টির সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। সব মিলিয়ে শীতের শুরু হয়ে গিয়েছে গৌড়বঙ্গে। আবহাওয়া এখন বেশ উপভোগ্য বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও।
মালদহের আবহাওয়া দপ্তরের পদস্থ আধিকারিক তপন কুমার দাস বলেন, এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকছে ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। কয়েকদিনের মধ্যেই পারদ আরও নামবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। উত্তুরে হাওয়াও বইতে শুরু করেছে। বাতাস বেশ শুষ্ক। পাশাপাশি ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার জাল তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই আবহাওয়া আধিকারিক।
খুব সকালে এবং সূর্যাস্তের পরে বেশির ভাগ মানুষের গায়েই দেখা যাচ্ছে ফুলহাতা জামা এবং গরম পোশাক। কেউ কেউ গায়ে চাপিয়েছেন চাদরও। পোশাক বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শীতের শুরুতে চাহিদা বেড়েছে হাফ সোয়েটার এবং জওহর কোটের। বেশকিছু দোকানে শীতবস্ত্রের পসরা আসতেও শুরু করেছে।
অন্যদিকে সন্ধের পর থেকে ভোর পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হলেও এখনও দিনের তাপমাত্রায় উষ্ণতার আঁচ অব্যাহত উত্তর দিনাজপুর জেলাজুড়ে। ঝড়ছে ঘামও। ফলে ডিসেম্বরের শুরুতেও দিনের বেলায় পাতলা জামা পরেই দিন কাটছে অনায়াসে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, জেলার বায়ুমণ্ডলের যা চরিত্র, তাতে দিনের বেলায় কনকনে ঠান্ডার অনুভূতির জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ গোপীনাথ রাহা বলেন, আগামী ৬ বা ৭ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর হয়তো কনকনে ঠান্ডা পড়তে পারে। উত্তর দিনাজপুর জেলার বেশিরভাগ অংশে সেই সময় হয়তো দিনের বেলাতেও শীতকালের আমেজ মিলবে।
জাঁকিয়ে শীত পড়তে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমশ নিম্নমুখী রয়েছে। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল। এদিন কুয়াশা ছিল না। আকাশ পরিষ্কার এবং ঠান্ডা বাতাসও নেই। বালুরঘাট মাঝিয়ান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তরফে জানা গিয়েছে, বালুরঘাটে তাপমাত্রা আগামী ৫ তারিখের পর থেকে আরও কমবে। ফলে তারপর থেকেই জেলায় জাঁকিয়ে শীত পড়তে চলেছে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুমন সূত্রধর বলেন, জেলায় ঠান্ডা পড়তে বেশি দেরি নেই।
আবহাওয়ার বদল হতেই গাঁয়ে গাঁয়ে বেরিয়ে পড়ছেল লেপ, কম্বল বিক্রেতারা। ইংলিশবাজারের এক লেপ তৈরির কারিগর ভূবন প্রসাদ বললেন, আমরা তুলো নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছি। অনেকে পুরনো তুলোর সঙ্গে নতুন মিশিয়ে লেপ তৈরি করাচ্ছেন। ব্যবসা ভালোই হচ্ছে। আরেকটু ঠান্ডা পড়লে আমাদের রোজগারও বাড়বে।
কুয়াশায় ঢেকেছে জাতীয় সড়ক। রায়গঞ্জে তোলা নিজস্ব চিত্র।