• পানীয় জলের দাবিতে বালতি নিয়ে বিক্ষোভ চন্দ্রপাড়ায়
    বর্তমান | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছনোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনও বঞ্চিত চাঁচল ২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকহাজার পরিবার। আর্সেনিকযুক্ত জল খেয়ে পেটের বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন বয়স্করা। পরিস্রুত পানীয় জলের দাবিতে সোমবার গ্রামীণ রাস্তায় বালতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তোক্তিপুর, হঠাৎপাড়া ও পুরাতন খানপুরের মহিলারা। জল সংকটের দায় প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের উপর চাপিয়েছেন তাঁরা। 

    এলাকায় পিএইচই’র প্রকল্প থাকলেও তাদের উদাসীনতার জেরে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। তিনবছর আগে এলাকার রাস্তা খুঁড়ে পাইপলাইনের কাজ হলেও বাড়ি বাড়ি জলসংযোগের কাজ হয়নি। এমনকী রাস্তার ধারে থাকা পিএইচইর পুরনো নলকূপগুলি থেকে বছর তিনেক ধরে জল আসছে না। বিভিন্ন জায়গায় সেগুলি বর্তমানে পরিত্যক্ত হয়ে রয়েছে। তোক্তিপুরে শতাধিক পরিবারের জন্য রয়েছে একটি সরকারি সাবমার্সিবল। বাড়ি বাড়ি কম গভীরের নলকূপ থাকলেও আর্সেনিকযুক্ত জল ওঠে। সেই জলপান করে বিভিন্ন পেটের নানান অসুখে ভুগছেন বয়স্করা বলে অভিযোগ। বিক্ষুব্ধ মহিলা সন্ধ্যা লোহড়া বলেন, তিনবছর আগে গ্রামে পাইপলাইন করে গিয়েছে পিএইচই। এখনও জল পেলাম না। নন্দারানি মণ্ডলের কথায়, এক কিমি দূরেই পিএইচই প্রকল্প। অন্য গ্রামের মানুষ জল পরিষেবা পেলেও আমরা বঞ্চিত। হঠাৎপাড়ার দুলালি খাতুন এদিন গভীর নলকূপ থেকে জল তুলতে তুলতে বলেন, এই জল কি মানুষ খায়? বাধ্য হয়ে অনেকে জল কিনে খায়।

    বিক্ষুব্ধ সাহিদুর রহমানের দাবি, আর্সেনিকযুক্ত জলপান করে বয়স্করা কিডনির রোগে ভুগছেন। পরিস্রুত পানীয় জলের দাবিতে একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েছি, কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। 

    চাঁচল মহকুমা পিএইচই’র সহকারী বাস্তুকার সুমিত ঘোষ বলেন, এলাকাটি নদী সংলগ্ন। ফলে ঠিকভাবে জল সরবরাহ হচ্ছে না। তা মিটিয়ে দ্রুত যাতে বাড়িতে জল সরবরাহ করা যায়, দপ্তরের তরফে সেই চেষ্টা চলছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)