• ক্রমশ আলু চাষ থেকে সরছেন চাষিরা, মাথায় হাত বীজ ব্যবসায়ীদের
    বর্তমান | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: এমনিতেই আলুবীজের দাম আকাশছোঁয়া। তার উপর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। ফলে দুশ্চিন্তা বেড়েছে বীজ ব্যবসায়ীদেরও। কারণ, জোড়া ধাক্কায় আলুবীজ বিক্রি একেবারে কমে গিয়েছে। চাষিদের পাশাপাশি বীজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রেও একই ক্ষতির ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। এখন চলছে আলু চাষের মরশুম। এই সময় জ্যোতি আলুর বীজ (৫০ কেজির প্যাকেট) বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ টাকায়। চন্দ্রমুখী আলুর বীজ বিকোচ্ছে ৩৫০০ টাকায় এবং পোখরাজ আলুর বীজের দাম পড়ছে ২২০০ টাকা। দাম শুনে অনেক কৃষক এবার আলু বসানোর পরিকল্পনাই বাতিল করছেন।


     হাড়োয়ার চাষি মধুসূদন ঘোষ বলেন, ‘চাষ করা বৃথা। যেভাবে সব জিনিসের দাম বাড়ছে, তাতে ক্ষতি ছাড়া লাভ হওয়ার আশা নেই। বীজের দাম আগে কখনও এতটা হয়নি। লোকসানের ভয়ে এবার আলু চাষ করছি না।’ দেগঙ্গার কবিরুল গায়েন বলেন, ‘এই আবহাওয়ার ফলে চাষবাস একেবারেই ভালো হচ্ছে না। কুয়াশা চলতে থাকলে ধসারোগ নিশ্চিত। প্রতি বছর আমি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আলু বসাই। এবার মাত্র দেড় বিঘা জমিতে আলু বসিয়েছি। জানি না কী হবে!’ দেগঙ্গা বাজারে আলুবীজ বিক্রি করেন পিয়ার মোল্লা। তিনি বলেন, ‘এবার বীজ কেনার চাহিদা একেবারে তলানিতে। আমাদের মতো ছোট বীজ ব্যাবসায়ীর ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি। মোটা টাকা দিয়ে বীজ কিনে এনেছিলাম। ভেবেছিলাম কিছু টাকা রোজগার হবে। কিন্তু সব জলে যাবে মনে হচ্ছে। কারণ, দাম শুনেই তো অনেকে পিছিয়ে যাচ্ছে।’ একই কথা বলছেন আরেক ব্যবসায়ী সমীর দাস। তাঁর কথায়, ‘আলুবীজ বিক্রি হচ্ছে না এবার। তাই বীজ নষ্ট হতে বসেছে। শুকিয়ে যাচ্ছে আলু। আমরা ক্ষতির আশঙ্কায় দিন গুনছি। আমি পেঁয়াজের বীজও বিক্রি করি। তার চাহিদাও এবার খুব কম।’
  • Link to this news (বর্তমান)