রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্নার উপস্থিতিতে সোমবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মেলেনি রফাসূত্র। সোমবার আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মন্ত্রীর বৈঠকে অধরা ছিল সমাধান সূত্র। ফলে আজ মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতিতে সামিল আলু ব্যবসায়ীরা। আলু সরবারহ বন্ধ রেখেছেন ২৫ হাজার আলু ব্যবসায়ী। সোমবার রাত থেকেই রাজ্যের অধিকাংশ হিমঘর থেকে আলু বের হচ্ছে না বলে দাবি আলু ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সব পাইকারি আলুর বাজার। ফলে আগামী কয়েকদিনেই মধ্যবিত্তের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে চলেছে আলু। আর আলু ব্যবসায়ীদের এই ধর্মঘটের জন্য রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকেই নিশানা করেছেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক এদিন বেলন, মুখ্যমন্ত্রী এভাবে আলু আটকাতে পারেন না, বর্ধমানের ভাল আলু কলকাতায় আসে। গড়বেতা, বাঁকুড়ার আলু যায় ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায়। বিরোধী দলনেতা বলেন, সরকার চালাচ্ছে কিন্তু কৃষি, আনাজ , চাষ সম্পর্ক ধারণা নেই। রাজ্য সরকারের বাস্তব জ্ঞান না থাকার কারণেই বাংলায় আলু নিয়ে জটিলতা বেড়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কোচবিহার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর, রাজ্যের সর্বত্র আলু চাষী ও ব্যবসায়ীর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পঞ্জাবের আলুর বীজ এত দামে বিত্কি হচ্ছে। রাজ্য সরকার কালো ব্যবসা রুখতে পারছেন না। কেন্দ্রের ভর্তুকি দেওয়া সারও এখানে কালোবাজারিতে বিক্রি হচ্ছে। আলু ব্যবসায়ী ও চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রাজ্য সরকারের অভিজ্ঞতা না থাকায়। বিরোধী দলনেতা বলেন, 'দল ও পুলিশ যেভাবে চালান, আলুটাকেও সেভাবে চালাতে চাইছেন।' শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীরে পরামর্শ দেন, আলু চাষীদের থেকে পরামর্শদাতা রাখুন।
প্রসঙ্গত, ভিন রাজ্যে আলু রফতানি নিয়ে জটিলতা না কাটায় লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীরা। এই ধর্মঘটের জেরে আজ সকাল থেকেই খুচরো বাজারে বন্ধ আলু সরবরাহ। তবে আজকেই তার প্রভাব খুচরো বাজারে পড়ার সম্ভাবন কম। কর্মবিরতি চলতে থাকলে আগামিকাল অথবা পরশু থেকেই খোলা বাজারে আলুর আকাল দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা। বাড়তে পারে দামও।