স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ জামুড়িয়ার জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, জামুড়িয়ার ২নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা অন্যায় ভাবে এলাকার বাজারে সব্জি বিক্রেতাদের হুমকি দিয়ে ভয় দেখান। তাঁর কথার একটু নড়চড় হলেই তাঁদের উপর চড়াও হন বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। খাস কেন্দা বাজারের সব্জি বিক্রেতা রঞ্জিত বর্নওয়ালের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে বাজারে এসে সিদ্ধার্থ তাঁর কাছে সব্জির দাম জানতে চান। তা নিয়ে কথা বলতে বলতে আচমকাই তাঁর উপর চড়াও হন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। মারধর করা হয় বলে অভিযোগ রঞ্জিতের।
অভিযোগকারী বাজারে যেখানে সব্জি নিয়ে বসেন, তার পিছনে থাকা এক দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে মঙ্গলবার সকালের দৃশ্য। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, হলুদ রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তির (সিদ্ধার্থ রানা) সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছেন আর এক ব্যক্তি (রঞ্জিত বর্নওয়াল)। তার পরনে সবুজ রঙের শার্ট এবং কালো প্যান্ট। বচসার মধ্যে আচমকাই সিদ্ধার্থ ঘুষি উঁচিয়ে তেড়ে যান রঞ্জিতের উদ্দেশে। তার পর সজোরে তাঁর গালে ঘুষিও মারেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় বাজার এলাকায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ-প্রশাসনের বিশেষ দল। তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে। সমাধানসূত্র বার করা হবে, তাদের থেকে এমন আশ্বাস পাওয়ার পরেই বিক্ষোভকারীরা অবস্থান তোলেন। যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, এলাকায় যানজট এড়ানোর জন্য খাস কেন্দা এলাকার বাজারের ব্যবসায়ীদের রাস্তা ছেড়ে সব্জি বিক্রি করতে বলা হয়। তিনি কাউকে মারধর করেননি বলেই দাবি করেন সিদ্ধার্থ।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বছর খানেক আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। এরাই তৃণমূলের সম্পদ। এদেরকে দিয়ে তৃণমূল ভোট করায়। তাই তারা গরিব মানুষকে মারুক বা সাধারণ শ্রমিক কে মারুক, দল কোনওরকম কোনও ব্যবস্থা নেয় না।’’