স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে বনগাঁর শুভজিৎ ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় নদিয়ার পানিনালার বাসিন্দা অদিতি মণ্ডলের। স্থানীয়দের দাবি, বিয়ের আগে অদিতির সঙ্গে এলাকার যুবক তাপস প্রামাণিকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে নানা অশান্তির কারণে বিচ্ছেদ হয়ে যায় দু’জনের। তার পরই অদিতি এবং শুভজিতের বিয়ে হয়। অভিযোগ, তাঁদের বিয়ের পর থেকেই প্রাক্তন প্রেমিকার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার ছক কষছিলেন তাপস।
দিন কয়েক আগে স্বামীর সঙ্গে পানিনালাতে বাপের বাড়ি আসেন অদিতি। সোমবার রাতে ওই দম্পতি স্থানীয় এক মেলায় ঘুরতে যান। সেখানেই তাপস তাঁদের উপর হামলা চালান বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আচমকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অদিতিদের উপর চড়াও হন তাপস। প্রথমে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন অদিতিকে। তাঁকে বাঁচাতে গেলে শুভজিতের উপরও চড়াও হন। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন দম্পতি। তার পরই পালিয়ে যান তাপস। তড়িঘড়ি আহত ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের।
ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার সঞ্জয় কুমার জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।