• নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেও জট কাটেনি, দলীয় প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর
    আনন্দবাজার | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • তৃণমূলের শো কজ়ের প্রেক্ষিতে লিখিত জবাব দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কিন্তু তা সত্ত্বেও ফের দলীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছেন তিনি। তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, শীতকালীন অধিবেশনে হুমায়ুনের জবাব নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। সেই বৈঠকে যেমন হুমায়ূনের জবাব নিয়ে আলোচনা হবে, তেমনই আলোচনা হবে চিঠির জবাব দিয়েই যে ভাবে তিনি নিশানা করেছিলেন দলের এক বর্ষীয়ান সাংসদকে, তা নিয়েও। সম্প্রতি হুমায়ুন বলেছিলেন, ‘‘আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতা মানি। তৃণমূল যদি আগামী দিনে আমায় টিকিট না দেয়, বেঁচে থাকলে অপকর্মের জবাব দেব।’’ বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে একই কথা বলেছিলেন তিনি। তাঁর একের পর এক বেফাঁস মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের শাসকদলকে। বৃহস্পতিবারও হুমায়ুন বলেন, “আগামী দিনে মুর্শিদাবাদের প্রত্যেক তৃণমূল বিধায়ক এবং মানুষের মুখে একটাই আওয়াজ উঠবে, তা হল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।”

    তাঁর এমন মন্তব্যের পরেই হুমায়ুনকে শো কজ় করেছিল তৃণমূল। পরে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তার পর তিনি নিজেই জানান, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে তাড়াতাড়ি শো কজ়ের চিঠির জবাব দিতে বলেছেন। শাসকদল সূত্রে জানা গিয়েছিল, তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশ অমান্য করে দল নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করার কারণে এই পদক্ষেপ করা হয়। প্রথমে ইমেলের মাধ্যমে শো কজ় করা হয়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় শো কজ়ের চিঠি হাতে পান হুমায়ুন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে শো কজের জবাব দেন হুমায়ূন। জবাব দেওয়ার পরেই তিনি বলেন, “কেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো কজ় করা হবে না, কেন তাঁকে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মুখোমুখি হতে হবে না? তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে আক্রমণ করলেও কেন কল্যাণকে শো কজ় করা হয় না?”

    তাঁর এ হেন মন্তব্যের পর থেকেই ক্ষুব্ধ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রের খবর, যে দিন বিধানসভার তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক বসবে সে দিন হুমায়ূনের কল্যাণকে আক্রমণের বিষয়টি আলোচনা হবে। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই অধিবেশনের সময়ই আমরা হুমায়ুনের জবাব নিয়ে আলোচনায় বসব। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ওকে জানাবে। আমরা চাইব যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ ও না করে।” তিনি আরও বলেন, “সাংসদকে নিয়ে হুমায়ুন যা বলেছে সেই বিষয় নিয়েও আমরা আলোচনা করব।”

  • Link to this news (আনন্দবাজার)