স্বাতী গত ২৪ নভেম্বর থেকে জ্বরে ভুগছিলেন। রক্তপরীক্ষায় জানা যায় তিনি ডেঙ্গি আক্রান্ত। প্লেটলেট নামছিল হু-হু করে। তাই প্রথমে তাঁকে চন্দননগরেরই একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এসএসকেএমে স্থানান্তর করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর। মৃত্যুর শংসাপত্রে লেখা রয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত ছিলেন তিনি। পরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার মারা গিয়েছেন তিনি।
মৃত চিকিৎসকের বাড়ি চন্দননগর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাটখোলা এলাকায়। স্বামী সুস্নাত দে-ও পেশায় চিকিৎসক। কোচবিহারে কর্মরত তিনি। ওই চিকিৎসক দম্পতির এক কন্যা আছেন। তিনি ডাক্তারি পড়ুয়া। চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন চন্দননগর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্য দিকে, চন্দননগর পুরনিগমের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভিজিৎ সেন দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন স্বাতীদেবী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আমরা খুব উদ্বেগের মধ্যে ছিলাম। এ ভাবে এক জন চিকিৎসকের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এলাকার মানুষের কাছে আবেদন, ডেঙ্গি থেকে রক্ষা পেতে আরও সচেতন থাকুন সবাই। যদিও চন্দননগরে ডেঙ্গির প্রকোপ কমই।’’