দলীয় সূত্রে খবর, সোমবার মমতার নির্দেশের পর গত রাত থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। রাতেই তৈরি হয় হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ। মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবশেনে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত মধ্যান্তর ছিল। সেই সময়ে দলীয় বিধায়কেরা একে একে অরূপের ঘরে গিয়ে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপে নাম অন্তর্ভুক্ত করাতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুণাভ সেন, মুকুটমণি অধিকারী, রানা চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও বেশ কয়েক জন বিধায়ক অরূপের ঘরে গিয়েছেন।
সোমবার বিধানসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ গঠনের নির্দেশ দেন। ওই বৈঠকেই দলের বিধায়কদের উদ্দেশে আরও বেশ কিছু বার্তা দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে জনসংযোগের উপর জোর দিয়েছেন দলনেত্রী। ২০২৬ সালের ভোটের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দেওয়ার জন্য বলেছেন মমতা। সেই মতো বিধায়কদের নিজ নিজ এলাকায় সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী। সদ্যনির্বাচিত বিধায়কদের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধন্যবাদ জানানোর জন্যও বলেছেন তিনি। গুরুত্ব দিতে বলেছেন তফসিলি এবং সংখ্যালঘু ভোটারদের দিকেও।
বিধায়কদের ‘শৃঙ্খলাপরায়ণ’ হওয়ার কথাও বলেন মমতা। হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়ে দেন, পর পর তিন দিন বিধানসভায় সময়মতো না-এলে চতুর্থ দিনে সেই বিধায়ককে ‘শোকজ়’ করা হবে। বিধায়কদের শৃঙ্খলার পাঠ দিয়ে মমতা বলেছেন, দলের বাইরে কিছু বলার দরকার নেই। বৈঠকের একটি পর্যায়ে পরিষদীয় দলকে নিয়ে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ গঠনের প্রস্তাবও দেন তিনি। তাঁর কথা মতোই শুরু হয় হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ গঠনের তোড়জোড়। সূত্রের খবর, বিধায়কেরা যেমন নিজেদের কথা এখানে জানাতে পারবেন, তেমনই দলের কোনও নির্দেশও এই গ্রুপে জানানো হবে।