নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: সারের কালো বাজারি নিয়ে সংসদে গর্জে উঠলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস এমপি কীর্তি আজাদ। মঙ্গলবার এই ইস্যুতে তিনি বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে গান্ধারীর সঙ্গে এবং বেসরকারি সার বিক্রেতাদের দুর্যোধনের সঙ্গে তুলনা করেন। এদিন তিনি বলেন, বিদেশ থেকে সারের আমদানির প্রয়োজন ছিল ৩৪ লক্ষ মেট্রিক টন। তার জায়গায় সার এসেছে মাত্র ১৯.৭ মেট্রিক টন। দেশজুড়ে সারের ঘাটতি। ২৫ কেজি সারের বস্তা চাষিদের যেখানে ১৩৫০ টাকায় কেনার কথা। সেখানে কালোবাজারির জন্য গরিব চাষিদের প্রতি বস্তায় ৫০০ টাকা করে বেশি দিতে হচ্ছে। চাষিদের এই সমস্যা দেখেও কেন্দ্রীয় সরকার গান্ধারীর মতো চোখে ফেটি বেঁধে বসে আছে আর অসাধু সার বিক্রেতারা দুর্যোধনের মতো আনন্দ করছে। বাংলার সাংসদের এই বক্তব্যে বিরোধী এমপিদের প্রবল সমর্থন পায়।
প্রসঙ্গত, সার ও রসায়ন মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান কীর্তি আজাদ। এর আগেও দেশের সার উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গেই তিনি দুর্গাপুরে বন্ধ সার কারখানা খোলার আর্জি জানিয়েছিলেন। এদিন সারের কালোবাজারি নিয়ে সরব হয়ে কৃষকদের মন জয় করলেন তৃণমূলের তারকা এমপি। এদিন তিনি ট্রেনের ভাড়ায় বয়স্ক ও সাংবাদিকদের কনশেসন ফের চালুর বিষয়েও সরব হন।